মার্চ মাসের ২৮ তারিখে মায়ানমারে ৭.৭ মাত্রার এক শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ম্যান্ডালাইয়ের কাছে।
এর ফলে এরই মধ্যে মৃতের সংখ্যা এক হাজরের বেশি ছাড়িয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে, তবে এখনো বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন দুই হাজারের বেশি মানুষ।
ভূমিকম্পের কারণে মিয়ানমারের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু ভবন ধসে পড়েছে, রাস্তাঘাট ও সেতু ভেঙে গেছে।
বিদ্যুত্ ও ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের খুঁজে বের করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মায়ানমারের প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডেও ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে। রাজধানী ব্যাংককসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ব্যাংককে একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়ায় অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছে এবং অনেকে আহত হয়েছে। এখনো বহু শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।
ভূমিকম্পের কারণে মিয়ানমারে মানবিক সংকট আরও গভীর হয়েছে। দেশটির সরকার জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে রক্তের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
বর্তমানে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে, যা ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রমকে কঠিন করে তুলেছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং দেশগুলো মিয়ানমারের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ত্রাণ সহায়তা পাঠাচ্ছে।
চীন, রাশিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে সাহায্য পাঠানো হয়েছে।
ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারের সামরিক জান্তা আন্তর্জাতিক সাহায্য চেয়েছেন।
মিয়ানমারের এই কঠিন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উচিত বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস