বিমানের যাত্রী, সহযাত্রীর অভদ্র আচরণের শিকার হয়ে প্রতিশোধ নিলেন, এই ঘটনায় কে সঠিক? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ঘটনা নিয়ে আলোচনা চলছে, যেখানে একজন যাত্রী তাঁর পাশের সিটে বসা অন্য এক যাত্রীর অভদ্র আচরণের শিকার হন।
এরপর তিনি যে প্রতিশোধ নিয়েছিলেন, তা নিয়ে উঠেছে বিতর্কের ঝড়।
ঘটনাটি ঘটেছে ডেল্টা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে। জানা যায়, মাঝের সিটে বসা এক যাত্রী তাঁর পাশের সিটে বসা অন্য এক যাত্রীর শারীরিক গঠন নিয়ে উপহাস করেন।
ওই যাত্রী আকারে বড় হওয়ায় তাঁকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আক্রান্ত যাত্রী, যিনি মাঝের সিটে ছিলেন, তিনি তাঁর সহযাত্রীর ইন-ফ্লাইট এন্টারটেইনমেন্ট (IFE) সিস্টেমের ভাষা পরিবর্তন করে প্রতিশোধ নেন।
যখনই তাঁর সহযাত্রী বাথরুমে যাওয়ার জন্য সিট থেকে উঠতেন, তখনই তিনি এই কাজটি করতেন। এতে ওই যাত্রী বেশ কয়েকবার বিড়ম্বনায় পড়েন।
ঘটনাটি অনলাইনে আসার পর অনেকেই এই বিষয়ে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। কেউ কেউ মনে করছেন, আক্রান্ত যাত্রী সঠিক কাজ করেছেন, কারণ অভদ্র আচরণের জবাব দেওয়াটা জরুরি ছিল।
তাঁদের মতে, মানুষ যদি তাদের আচরণের ফল সম্পর্কে সচেতন থাকে, তাহলে অন্যদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার আগে দু’বার ভাববে। অনেকে একে “ছোট্ট প্রতিশোধ” হিসেবে দেখছেন।
অন্যদিকে, অনেকে এই ঘটনার সমালোচনা করেছেন। তাঁদের মতে, আক্রান্ত যাত্রীও একইভাবে খারাপ আচরণ করেছেন।
একজন যাত্রী তাঁর সিটের জন্য অর্থ পরিশোধ করেছেন, সেখানে তাঁর ব্যক্তিগত বিনোদন ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করাটা গ্রহণযোগ্য নয়।
এ বিষয়ে শিষ্টাচার বিশেষজ্ঞরা ভিন্নমত পোষণ করেছেন। তাঁদের মতে, প্রতিশোধ নেওয়ার এই প্রবণতা সঠিক নয়।
এর পরিবর্তে, আক্রান্ত যাত্রীর উচিত ছিল শান্তভাবে এবং দৃঢ়তার সঙ্গে তাঁর সহযাত্রীর এই আচরণের প্রতিবাদ করা।
যাত্রাপথে পারস্পরিক সম্মান ও সহমর্মিতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে, উড়োজাহাজের মতো আবদ্ধ স্থানে সবারই উচিত ধৈর্য ধরে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া।
সামান্য ভুল বোঝাবুঝি বা খারাপ আচরণ একটি সুন্দর ভ্রমণকে তিক্ত করে তুলতে পারে।
তাহলে, এই ঘটনার বিচারে কে সঠিক? আপনার কী মনে হয়?
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল এন্ড লেজার