গতকালের ভূমিকম্পে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রিখটার স্কেলে ৭.৭ মাত্রার এই ভূমিকম্পে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। উভয় দেশেই উদ্ধারকাজ চলছে এবং এর প্রভাব এখনো অনুভূত হচ্ছে।
বিশেষ করে মিয়ানমারে এই ভূমিকম্পের কারণে দেশটির সামরিক জান্তা আন্তর্জাতিক সাহায্য চেয়েছে, যা একটি বিরল ঘটনা।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছাকাছি এলাকা। এর ফলে উভয় দেশেই বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছে।
ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, এর কম্পন প্রতিবেশী দেশগুলোতেও অনুভূত হয়েছে। থাইল্যান্ডে হতাহতের সংখ্যা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি, তবে মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমনিতেই অস্থিতিশীল। দেশটির সামরিক সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের থেকে বিচ্ছিন্ন। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সাহায্য চাওয়া তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে তারা সম্ভবত ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট বিপর্যয় মোকাবিলায় জরুরি সহায়তা চাইছে।
এই ভূমিকম্পের ঘটনার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভূমিকম্পের ঝুঁকি। বাংলাদেশ একটি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ এবং এখানে প্রায়ই ছোটখাটো ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তাই, এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি রাখা অত্যন্ত জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগকে এক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে।
জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, ভূমিকম্প সহনীয় ভবন নির্মাণ এবং জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুতি রাখা এখন সময়ের দাবি। ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান