গ্রিনল্যান্ড নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগ্রহ: ডেনমার্কের অধীনস্থ স্ব-শাসিত অঞ্চলের কড়া প্রতিক্রিয়া।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ডকে হস্তগত করার আগ্রহ প্রকাশ করার পর, ডেনমার্কের অধীনস্থ স্ব-শাসিত অঞ্চলটির প্রধানমন্ত্রী জেন্স-ফ্রেডেরিক নীলসেন তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, গ্রিনল্যান্ড কারো অধীনে নয় এবং তারা তাদের ভবিষ্যৎ নিজেরাই নির্ধারণ করবে।
আটলান্টিক মহাসাগরের বিশাল দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড, যা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর, ডেনমার্কের একটি স্ব-শাসিত অঞ্চল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এই অঞ্চলটি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এমনকি তিনি সামরিক শক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি, যদিও শান্তিপূর্ণ উপায়ে এটি অর্জনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
নীলসেন তার প্রতিক্রিয়ায় ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র গ্রিনল্যান্ড ‘পেতে পারে’। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই: যুক্তরাষ্ট্র এটি পাবে না। আমরা কারো নই। আমরা নিজেরাই আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করি।”
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর গ্রিনল্যান্ডের স্থানীয় রাজনৈতিক মহল ও ডেনিশ নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করেন, গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি এটি চরম অবজ্ঞা। ডেনমার্কের পক্ষ থেকেও ট্রাম্পের এই ধরনের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন আগ্রহ আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকের মতে, গ্রিনল্যান্ডের কৌশলগত গুরুত্বের কারণেই ট্রাম্প প্রশাসন এই দ্বীপটির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে। বিশেষ করে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আর্কটিক অঞ্চলের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রিনল্যান্ডের গুরুত্ব আরও বেড়েছে।
ট্রাম্পের এমন ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রশ্ন করা হলে, ট্রাম্প সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। ইউক্রেন আক্রমণের প্রেক্ষাপটে তার এই নীরবতা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। গ্রিনল্যান্ডের ভবিষ্যৎ এখন কী হবে, সেদিকেই সবার দৃষ্টি।
তথ্য সূত্র: CNN