নিউ ইয়র্ক ইয়্যাঙ্কিস দল তাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নয়টি হোম রান করে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এই অসাধারণ সাফল্যের পেছনে একটি বিশেষ ধরনের বেসবল ব্যাট-এর অবদান রয়েছে, যা ‘টর্পেডো’ আকৃতির নামে পরিচিত।
শনিবার মিলওয়াকি ব্রুয়ার্স দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত খেলায় ইয়্যাঙ্কিস খেলোয়াড়রা এই কৃতিত্ব দেখান।
খেলার বিবরণ অনুযায়ী, ইয়্যাঙ্কিসের খেলোয়াড় পল গোল্ডস্মিথ, কোডি বেলিংগার, অস্টিন ওয়েলস, অ্যান্থনি ভলপ এবং জ্যাজ চিশোলম জুনিয়র এই ম্যাচে হোম রান করেন। খেলোয়াড়দের এমন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের ফলে স্কোরবোর্ডে বিশাল পরিবর্তন আসে।
রবিবার অনুষ্ঠিত খেলায়ও ইয়্যাঙ্কিস দল দারুণ পারফর্ম করে, যেখানে তারা আরও চারটি হোম রান করতে সক্ষম হয়। এই জয়ের ফলে তারা মেজর লিগ বেসবলের ইতিহাসে প্রথম তিনটি খেলায় সবচেয়ে বেশি হোম রান করার রেকর্ড গড়ে, যা আগে ২০০৬ সালে ডেট্রয়েট টাইগার্স দল তৈরি করেছিল।
এই সাফল্যের পেছনে মূল কারণ হলো ‘টর্পেডো’ আকৃতির ব্যাট। এই অভিনব ডিজাইন খেলোয়াড়দের খেলার ধরনে পরিবর্তন এনেছে।
ব্যাটটির নকশা তৈরি করেছেন অ্যারন লিনহার্ড, যিনি আগে ইয়্যাঙ্কিসের সাথে কাজ করতেন এবং বর্তমানে মিয়ামি মার্লিন্স দলের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
নতুন এই ডিজাইন ব্যাটের ‘মিষ্টি স্থান’ বা সুইট স্পট-এ আরও বেশি গুরুত্ব দেয়, যার ফলে বলের গতি এবং শক্তি অনেক বেড়ে যায়।
এই প্রসঙ্গে, সাবেক ইয়্যাঙ্কিস খেলোয়াড় কেভিন স্মিথ সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “খেলোয়াড়রা এখন এমন একটি অস্ত্র নিয়ে খেলছে যা তাদের পারফরম্যান্সকে আরও উন্নত করতে পারে।
খেলোয়াড় কোডি বেলিংগার জানান, এই নতুন ব্যাটটি ব্যবহারের ফলে তাঁর খেলার ধরনে পরিবর্তন এসেছে। তিনি বলেন, “আমি যখন এই ব্যাটটি ব্যবহার করা শুরু করি, তখন ভালো লাগছিল। আমার মনে হচ্ছিল, যেন ওজনটা ভালোভাবে réparti হচ্ছে।
দলের ম্যানেজার অ্যারন বুন বলেন, “আমরা সবসময় চেষ্টা করি কিভাবে সামান্য কিছু পরিবর্তন এনে খেলার ফল নিজেদের দিকে আনা যায়। খেলোয়াড়দের এই চেষ্টা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
এই ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর, বেসবল বিশ্বে নতুন করে এই ‘টর্পেডো’ আকৃতির ব্যাট নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, খেলার উন্নতিতে এই ধরনের উদ্ভাবন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
খেলোয়াড়দের মধ্যে কেউ কেউ এই নতুন ধরনের ব্যাট ব্যবহার করছেন এবং এর সুফল পাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ পুরনো ধারাতেই খেলা চালিয়ে যেতে আগ্রহী।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস