শিরোনাম: মালিকানা বিবাদে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে, অস্তিত্ব সংকটে রিডিং ফুটবল ক্লাব।
ইংল্যান্ডের ফুটবল ইতিহাসে পরিচিত নাম রিডিং ফুটবল ক্লাব। কিন্তু বর্তমানে ক্লাবটি এক গভীর আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছে, যার কারণ মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতা।
ক্লাবের বর্তমান মালিক ডাই ইয়ংগে’র সঙ্গে সাবেক সম্ভাব্য ক্রেতা রব কুহিগের বিরোধের জেরে আসন্ন বিপদের মুখে রিডিং।
জানা গেছে, ডাই ইয়ংগে ক্লাবটি বিক্রি করতে চাচ্ছেন, এবং এক্ষেত্রে রবার্ট প্লেটেকের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
কিন্তু কুহিগ, যিনি এর আগে ক্লাবটি কিনতে আগ্রহী ছিলেন, তিনি ডাই ইয়ংগে’র প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। কুহিগের দাবি, ক্লাবের স্টেডিয়াম এবং প্রশিক্ষণ মাঠের ওপর তার অধিকার ছাড়তে রাজি নন তিনি।
এই পরিস্থিতির কারণ হলো, গত গ্রীষ্মে ডাই ইয়ংগে’র সঙ্গে একটি চুক্তি ভেঙে যাওয়ার পর ক্ষতিপূরণ চেয়ে কুহিগের করা একটি আইনি লড়াই। কুহিগের দাবি ছিল, চুক্তি ভঙ্গের কারণে তিনি প্রায় ১২ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ১৬০ কোটি টাকার বেশি) ক্ষতির শিকার হয়েছেন। এই মামলার শুনানি জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বিষয়টি সমাধানে তৎপরতা চালাচ্ছে ইংলিশ ফুটবল লীগ (ইএফএল)। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্লাবটিকে বিক্রি করার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে রিডিং ক্লাবকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে, এমনকি তাদের খেলা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। এমনটা হলে, লিগ ওয়ানে তাদের প্লে-অফের লড়াইয়ে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে, যা ক্লাবটির খেলোয়াড় এবং সমর্থকদের জন্য একটি দুঃসংবাদ বয়ে আনবে।
কুহিগের আইনজীবীরা রিডিং কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। কুহিগ জানিয়েছেন, “বাস্তব কোনো চুক্তি না দেখা পর্যন্ত আলোচনার কোনো অর্থ নেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমি দেখতে চাই বিক্রেতা এবং ক্রেতা উভয়ের স্বাক্ষরিত একটি আইনি দলিল। তাহলেই কেবল আমরা একটি চুক্তিতে আসতে পারব।”
কুহিগ এখনও রিডিং কিনতে আগ্রহী, তবে তিনি প্লেটেকের কাছে ক্লাবটি হস্তান্তর করতে রাজি নন। এদিকে, ইএফএল এই বিষয়ে দ্রুত একটি সমাধান চাইছে।
তারা মনে করছে, ক্লাবটিকে টিকিয়ে রাখতে হলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
বর্তমানে রিডিং ফুটবল ক্লাব লিগ ওয়ানে প্লে-অফ স্থান থেকে মাত্র এক পয়েন্ট দূরে রয়েছে। মাঠের পারফরম্যান্স ভালো থাকলেও, মাঠের বাইরের এই অস্থিরতা তাদের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।