টটেনহ্যাম হটস্পার্সের (Spurs) কোচ অ্যাঞ্জ পোস্তেকোগ্লুর সঙ্গে দলের সমর্থকদের সম্পর্ক নিয়ে যেন চিড় ধরেছে। সম্প্রতি চেলসির বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে দলের পারফরম্যান্সের পর এমনটাই মনে করছেন অনেকে।
খেলার ফল হতাশাজনক হওয়ায় কোচের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে টটেনহ্যাম ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল। খেলার ৬৪ মিনিটে কোচ লুকাস বের্গভালের পরিবর্তে মাঠে নামান পাপে সারকে।
এর ঠিক পরেই, ৬৯ মিনিটে সার একটি গোল করলেও ভিএআরের (VAR) কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। গোল বাতিল হওয়ার পরই ডাগআউটে দাঁড়িয়ে থাকা পোস্তেকোগ্লু দর্শকদের দিকে ব্যঙ্গ করে কান ধরেন।
অনেকের মতে, এই ঘটনা সমর্থকদের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতির চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত।
ম্যাচে টটেনহ্যামের পারফরম্যান্স ছিল বেশ দুর্বল। চেলসির আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে।
নিকোলাস জ্যাকসন, যিনি দীর্ঘদিন ইনজুরির পর ফিরেছেন, তিনি ক্রিস্তিয়ান রোমেরোকে পরাস্ত করে ভালো খেলেন।
খেলার প্রথমার্ধে চেলসি বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করে, কিন্তু টটেনহ্যামের রক্ষণভাগ তাদের রুখতে ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয়ার্ধে এনজো ফার্নান্দেজের গোলে চেলসি এগিয়ে যায়।
টটেনহ্যামের খেলার ধরনে কোনো ধারাবাহিকতা ছিল না। আক্রমণভাগে তারা কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই খেলছিল।
মাঝমাঠে খেলোয়াড়দের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব ছিল স্পষ্ট। দলের এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সের কারণে সমর্থকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
ম্যাচ শেষে পোস্তেকোগ্লুকে মাঠেই দেখা যায়, তবে তিনি দর্শকদের দিকে যাননি।
অনেকের মতে, দুই পক্ষের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব এখন অনেক গভীর। দলের ‘আঞ্জ-বল’ খ্যাত খেলার ধরনেও সমর্থকদের আস্থা কমতে শুরু করেছে।
প্রিমিয়ার লিগে টটেনহ্যামের এটি ছিল ১৬তম হার। দলের এই খারাপ ফলের কারণে এখন অনেকেই মনে করছেন, কোচের পদ টলমল করছে।
ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করা হয়নি, তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনেকেই মনে করছেন, পোস্তেকোগ্লুর ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান