স্বাস্থ্যখাতে বহুল পরিচিত একটি নাম জনসন অ্যান্ড জনসন (Johnson & Johnson)। এই বিশাল কোম্পানির অন্ধকার দিক নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে অনুসন্ধানী সাংবাদিক গার্ডিনার হ্যারিসের লেখা নতুন বই, ‘নো মোর টিয়ার্স: দ্য ডার্ক সিক্রেটস অফ জনসন অ্যান্ড জনসন’।
বইটিতে জনসন অ্যান্ড জনসনের অতীতের নানা বিতর্কিত বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
বইটিতে ১৯৮২ সালের টাইলেনল (Tylenol) বোতল কারচুপির ঘটনা থেকে শুরু করে, তাদের বেবি পাউডারে ট্যালকম পাউডারের ব্যবহার নিয়ে হওয়া মামলা, এবং অ্যান্টি-সাইকোটিক ওষুধ রিস্পেরডালের (Risperdal) পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সহ আরও অনেক বিষয় উন্মোচন করা হয়েছে।
জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি করা ওষুধ এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক পণ্যগুলোর কারণে কিভাবে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে।
শুধু তাই নয়, কিভাবে এই কোম্পানিটি মাদকাসক্তি সংকট তৈরি করতে ভূমিকা রেখেছে, সে সম্পর্কেও আলোকপাত করা হয়েছে।
বইটিতে শুধু জনসন অ্যান্ড জনসনের বিষয়গুলোই নয়, বরং ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)-এর মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর দুর্বলতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
কিভাবে এই সংস্থাগুলো ভোক্তাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে, সেই দিকগুলোও তুলে ধরেছেন লেখক।
এছাড়া, আমেরিকান মিডিয়া কীভাবে কখনো কখনো ওষুধ প্রস্তুতকারকদের বিরুদ্ধে এফডিএ-এর পদক্ষেপগুলোকে বাড়িয়ে দেখিয়েছে, সে বিষয়েও আলোকপাত করা হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য এবং ওষুধ শিল্পের জটিলতা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী পাঠকদের জন্য এই বইটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হতে পারে।
জনসন অ্যান্ড জনসনের মতো একটি প্রভাবশালী কোম্পানির ভেতরের খবরগুলো অনুসন্ধানের মাধ্যমে লেখক স্বাস্থ্যখাতের আরও অনেক অজানা দিক তুলে এনেছেন, যা বর্তমান সময়ের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা পেতে সাহায্য করবে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস