বিখ্যাত ব্যান্ড ‘ব্লিংক-১৮২’-এর শিল্পী মার্ক হপাসের জীবন ও সংগ্রাম।
মার্ক হপাস, যিনি ‘ব্লিংক-১৮২’ ব্যান্ডের বেস গিটারিস্ট ও কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পরিচিত, সম্প্রতি তার জীবন ও ব্যান্ড জীবনের নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন। ক্যান্সারের সাথে তার লড়াই, ব্যান্ডের উত্থান-পতন এবং জনপ্রিয়তার শিখরে আরোহন সহ বিভিন্ন বিষয়ে তিনি খোলামেলা আলোচনা করেছেন।
ছোটবেলার দিনগুলি।
মার্ক হপাস আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার রিজক্রেস্টে বেড়ে ওঠেন। শৈশবে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ তার জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। তিনি বলেন, “আমার মনে হতো আমি যেন সবসময় তাদের মাঝে পড়ে গেছি।”
এই ঘটনার কারণে তিনি উদ্বেগ ও বিষণ্ণতার শিকার হন। তবে, পরবর্তীতে স্কেটবোর্ডিং এবং পাঙ্ক রক সংস্কৃতির সাথে যুক্ত হয়ে তিনি এক নতুন আশ্রয় খুঁজে পান।
ব্লিংক-১৮২ এর যাত্রা।
নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে মার্ক হপাস, টম ডিলং এবং ট্রাভিস বেকার-কে সাথে নিয়ে ‘ব্লিংক-১৮২’ ব্যান্ডটি গঠন করেন। তাদের গানের ধারা ছিল পপ-পাঙ্ক, যা দ্রুত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
‘হোয়াটস মাই এজ এগেইন?’, ‘ডিক লিপস’-এর মতো গানগুলো তাদের পরিচিতি এনে দেয়।
ব্যক্তিগত জীবন ও মানসিক স্বাস্থ্য।
ব্যক্তিগত জীবনেও মার্ক হপাসকে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর তার জীবন সম্পূর্ণ বদলে যায়।
২০২১ সালে তিনি জানতে পারেন যে তিনি ‘ডিফিউজ লার্জ বি-সেল লিম্ফোমা’-তে আক্রান্ত। এই কঠিন সময়ে তিনি তার বন্ধু এবং পরিবারের কাছ থেকে অফুরন্ত সমর্থন পেয়েছেন। ক্যান্সারের চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন, কিন্তু তার ভেতরের মানুষটি সবসময় লড়ে গেছে।
কাজের প্রতি ভালোবাসা।
কাজের প্রতি মার্ক হপাসের ভালোবাসা ছিল সবসময় চোখে পড়ার মতো। তিনি বলেন, “আমি আমার জীবনের কঠিন দিনগুলোও উপভোগ করেছি।” ব্যান্ডের সাফল্যের পেছনে তাদের কঠোর পরিশ্রম ও ডেডিকেশন ছিল অন্যতম কারণ।
কোচেলা উৎসবে প্রত্যাবর্তন।
ক্যান্সার থেকে সেরে ওঠার পর, ‘ব্লিংক-১৮২’ অপ্রত্যাশিতভাবে কোচেলা উৎসবে পারফর্ম করে। সেখানে তাদের পরিবেশনা দর্শকদের মন জয় করে নেয়।
নতুন বই: ফ্যারেনহাইট-১৮২।
মার্ক হপাস সম্প্রতি তার আত্মজীবনী ‘ফ্যারেনহাইট-১৮২: আ মেমোয়ার’ প্রকাশ করেছেন। বইটিতে তিনি তার জীবনের নানা অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন, যা পাঠকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।