সম্প্রতি, ডিউক অফ সাসেক্স, মেগান মার্কেলের নতুন একটি পডকাস্ট প্রকাশিত হয়েছে, যার নাম ‘কনফেশনস অফ এ ফিমেল ফাউন্ডার’। এই পডকাস্টে তিনি সফল নারী উদ্যোক্তাদের সাথে কথা বলেন, তাদের সাফল্যের গল্প শোনান।
তবে এই নতুন উদ্যোগটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
পডকাস্টের প্রথম পর্বে মেগান কথা বলেছেন জনপ্রিয় ডেটিং অ্যাপ বাম্বলের প্রতিষ্ঠাতা হুইটনি উল্ফ হার্ডের সাথে। এক সময় বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ স্ব-নির্মিত নারী বিলিয়নেয়ার ছিলেন তিনি।
পডকাস্টটিতে মূলত এই ধরনের সফল নারীদের সাফল্যের গল্প তুলে ধরা হয়েছে।
অনেকেই মনে করছেন, মেগান মার্কেলের এই উদ্যোগ তাঁর নিজের একটি নতুন ব্যবসা শুরুর পরিকল্পনারই অংশ। সম্প্রতি তিনি ‘উইথ লাভ, মেগান’ নামে একটি নেটফ্লিক্স সিরিজও শুরু করেছেন। যেখানে তিনি তাঁর জীবনযাত্রা এবং ব্যবসার বিভিন্ন দিক তুলে ধরছেন।
পর্যালোচকদের মতে, পডকাস্টটিতে কথোপকথনগুলি বেশ প্রশংসাসূচক এবং অনেক ক্ষেত্রে আত্ম-প্রশংসায় পরিপূর্ণ।
মেগান এবং তাঁর অতিথিদের মধ্যেকার আলোচনাগুলি খুব একটা গভীর নয় বলেই মনে হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, যখন বাম্বলের শেয়ারের দাম কমে গিয়েছিল, তখন হুইটনি উল্ফ হার্ড নিজেকে একটি চিঠি লিখেছিলেন, যেখানে তিনি তাঁর জীবনের ভালো দিকগুলো তুলে ধরেছিলেন।
এর উত্তরে মেগান বলেছিলেন, “আপনি কতটা পরিণত, সেটা দেখে আমি মুগ্ধ।” সমালোচকদের মতে, এই ধরনের আলোচনাগুলো শ্রোতাদের কাছে খুব একটা আকর্ষণীয় নাও হতে পারে।
যদিও মেগান একজন ভালো ইন্টারভিউয়ার, যিনি আলোচনাকে সঠিক পথে রাখেন এবং প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করেন, তবুও ব্যক্তিগত বিষয়গুলো নিয়ে তাঁর আলোচনা করার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে কম।
তাঁর আগের পডকাস্ট ‘আর্কিটাইপস’-এর তুলনায় এখানে বর্ণনাভঙ্গিও অনেক কম। অনেকেই মনে করেন, মেগান সম্ভবত তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না।
তবে, অনেকেই মনে করেন, এই পডকাস্টটি মূলত ধনী নারীদের মধ্যেকার একটি বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা, যেখানে ব্যবসায়িক পরামর্শের চেয়ে পারস্পরিক প্রশংসাই বেশি।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।