মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মহার হ্রাস নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি, দেশটির কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি জনসংখ্যা বৃদ্ধির পক্ষে কথা বলছেন, যা বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরকারি নীতিনির্ধারকদের মধ্যে কেউ কেউ আবার বেশি জন্মহারের এলাকাগুলোতে অবকাঠামো উন্নয়নে বেশি অর্থ দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন। এই পরিস্থিতিতে, বিভিন্ন রাজ্যে জন্মহারের ভিন্নতা নিয়ে আলোচনা চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (CDC) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্টিলিটি রেট বা সন্তান জন্ম দেওয়ার হার ১২ শতাংশ কমেছে।
এই পরিস্থিতিতে, অনেকে মনে করছেন জনসংখ্যা কমে যাওয়া একটি সংকট তৈরি করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন মন্ত্রী শান ডাফি, যিনি নিজে নয় সন্তানের জনক, তিনি বেশি জন্মহারের এলাকাগুলোতে অবকাঠামো খাতে অর্থ বরাদ্দের পক্ষে মত দিয়েছেন।
অন্যদিকে, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কও বেশি সন্তান নেওয়ার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করছেন। তিনি বিশ্বজুড়ে জন্মহার কমে যাওয়াকে একটি সংকট হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এই বিষয়ে, সম্প্রতি টেক্সাসে জনসংখ্যা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে একটি আলোচনা সভা হয়।
সেখানে বক্তারা বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অনেক সদস্যের কাছে জন্মহারের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, তাই এই সংক্রান্ত ভালো ধারণাগুলো এখন গুরুত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সিএনএন-এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে ফার্টিলিটি রেটের তারতম্য দেখা যায়।
উদাহরণস্বরূপ, ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, সাউথ ডাকোটা রাজ্যে প্রতি ১০০০ জন নারীর মধ্যে জন্মহার ছিল ৬২.৬৪ জন, যা দেশটির মধ্যে সর্বোচ্চ।
অন্যদিকে ভারমন্ট রাজ্যে এই হার ছিল ৪২.১ জন, যা সর্বনিম্ন।
এই বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিতর্ক চলছে।
কেউ কেউ মনে করেন, কম জন্মহার অর্থনীতির জন্য ভালো, আবার কেউ মনে করেন, জনসংখ্যা কমে গেলে তা বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে পারে।
এই বিতর্কের মধ্যে, নীতি নির্ধারকরা জন্মহার বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
তথ্য সূত্র: CNN