ইকুয়েডরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া এবং বামপন্থী প্রার্থী লুইসা গঞ্জালেজের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। এই নির্বাচন ঘিরে দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে উদ্বেগ বাড়ছে, কারণ মাদক-সংক্রান্ত অপরাধ ব্যাপক হারে বেড়েছে।
রবিবার স্থানীয় সময় সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে সন্ধ্যা ছয়টায় (বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী সোমবার ভোর ৫টা) তা শেষ হয়।
নির্বাচনে ভোটারদের প্রধান উদ্বেগের কারণ ছিল নিরাপত্তা। অনেকে মনে করেন, দেশের শান্তি ফিরিয়ে আনতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি জরুরি।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট নোবোয়া মাদক চক্র ও গ্যাংগুলির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন, গ্যাং নির্মূলে সামরিক বাহিনী নামিয়েছেন এবং একটি নতুন কারাগার নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। তবে এসব পদক্ষেপের ফল এখনো পর্যন্ত সীমিত।
অন্যদিকে, লুইসা গঞ্জালেজ প্রাক্তন বামপন্থী প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়ার অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তিনি নিরাপত্তা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতিরোধের ওপর জোর দিয়েছেন। গঞ্জালেজ “নতুন ইকুয়েডর” গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সমাজের দরিদ্র মানুষের জন্য সামাজিক ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।
তার মতে, তিনি আশা ও পরিবর্তনের প্রতীক, যেখানে নোবোয়া ভয়ের জন্ম দেন।
২০২৩ সালের এক বিশেষ নির্বাচনে নোবোয়া জয়লাভ করেন। নির্বাচনে গঞ্জালেজকে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে তিনি প্রেসিডেন্ট হন।
বর্তমানে তিনি পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় আসার জন্য লড়ছেন। বিশ্লেষকদের মতে, ইকুয়েডরের এই নির্বাচন শুধু দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়, এর ফল আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে ইকুয়েডরে এক হাজারের বেশি মানুষ খুন হয়েছে এবং লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে এখানে হত্যার হার সবচেয়ে বেশি। নির্বাচনের ফলাফল কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জানা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন