শিরোনাম: ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির সমালোচনার জেরে মাস্কের ‘বোকা’ মন্তব্যের পরেও ‘ভালো আছি’ নাভারো।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো এবং টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এলন মাস্কের মধ্যে সম্প্রতি একটি উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে।
মাস্ক, যিনি একসময় ট্রাম্পের উপদেষ্টাদের একজন ছিলেন, নাভারোকে সরাসরি ‘বোকা’ এবং ‘ইটের থেকেও অকেজো’ বলে মন্তব্য করেছেন। এর কারণ হিসেবে জানা যায়, ট্রাম্পের প্রস্তাবিত বাণিজ্য শুল্ক নীতি নিয়ে তাদের মধ্যে মতপার্থক্য ছিল।
নাভারো দীর্ঘদিন ধরে এই শুল্ক আরোপের পক্ষে ওকালতি করে আসছিলেন।
তবে মাস্কের এমন মন্তব্যের পরেও নাভারো বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখিয়েছেন। এনবিসি নিউজের ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “এলন এবং আমি ভালো বন্ধু। আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই।” তিনি আরও যোগ করেন, “এর আগেও আমাকে অনেকে অনেক কথা বলেছে।”
এই বিতর্কের সূত্রপাত হয় যখন মাস্ক ট্রাম্পের বিশ্বব্যাপী শুল্ক আরোপের প্রস্তাবের সমালোচনা করেন।
ট্রাম্প পরবর্তীতে কিছু দেশের ওপর শুল্কের হার কমিয়ে দিলেও, নাভারো এই নীতির পক্ষে ছিলেন। মাস্কের মতে, এই ধরনের শুল্ক বাণিজ্যখাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নাভারো সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার জন্য আলোচনায় ছিলেন।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে হামলার ঘটনায় কংগ্রেসের তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করায় তিনি কয়েক মাস জেলও খেটেছেন। তবে বর্তমানে তিনি ট্রাম্পের বাণিজ্য ও উৎপাদন বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট মাস্ক ও নাভারোর মধ্যকার এই বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, “ছেলেরা তো এমনই হয়, তাদের এই বাগযুদ্ধ চলুক।”
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতির সম্ভাব্য প্রভাব নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
বিশেষ করে, পোশাক শিল্পের মতো প্রধান রপ্তানি খাতে এর প্রভাব কেমন হবে, তা বিশেষভাবে বিবেচনার যোগ্য। বাণিজ্য শুল্ক বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতেও তার প্রভাব পড়তে পারে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান