1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
June 10, 2025 2:14 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
ঈদের ছুটিতে হাজারো পর্যটক দর্শনার্থীদের ভীড়ে মুখর সাগরকন্যা কুয়াকাটা কাপ্তাইয় তৃতীয় দিনে বিনোদন কেন্দ্রে উপচে পড়া ভীড়  কাপ্তাই শিলছড়ি হাজির টেক শত্রুতার জেরে ঘরে আগুন কাপ্তাইয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি  ইউসুফের দুস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ  দুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ১০আর ই ব্যারালিয়নের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ  চিৎমরম বন্যহাতি  ধারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জামায়াতের আর্থিক অনুদান প্রদান  কাউখালীতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত কাউখালী ৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি পূণ:নির্মানের দাবীতে মানববন্ধন কাপ্তাইয়ে বিশ্বাস তামাক দিবস উদযাপন  কাউখালী হাসপাতালে দুস্থ রোগীদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ

গ্রিনল্যান্ডে ভূমি দখলের ফন্দি! ট্রাম্পের ডান্ডা, বিনিয়োগকারীদের মুনাফার পাহাড়?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Tuesday, April 15, 2025,

শিরোনাম: গ্রিনল্যান্ড দখলের স্বপ্নে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও ব্যবসায়ীরা, বিতর্কের ঝড়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড কিনে নেওয়ার আগ্রহ নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিতর্ক চলছে। এবার জানা যাচ্ছে, এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বের সুযোগ নিতে চাচ্ছেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কিছু বন্ধু ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তি ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। এই বিষয়টি ঘিরে নতুন করে নৈতিক প্রশ্ন উঠেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম *দ্য গার্ডিয়ান*-এর এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্রিনল্যান্ডে খনিজ সম্পদ উত্তোলনের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান—এমন বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে ট্রাম্পের ব্যবসায়িক সহযোগী এবং অনুগত ব্যক্তিরা লাভবান হতে পারেন। এমনকি, দেশটির কৌশলগত অবস্থানে নজর রেখে সামরিক সুবিধা লাভের সম্ভাবনাও দেখছেন তারা।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রযুক্তি খাতের প্রভাবশালী ব্যক্তি, জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবসায়ী এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি জগতের মহারথীরা ট্রাম্পের ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় অন্তত ২৩ কোটি ৪০ লক্ষ মার্কিন ডলার দিয়েছেন। এছাড়াও, গ্রিনল্যান্ডে খনি প্রকল্পে বিনিয়োগ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ারহোল্ডাররা ট্রাম্প মিডিয়াতে প্রায় ৩১ কোটি ৪০ লক্ষ ডলার বিনিয়োগ করেছেন, যা নির্বাচনের আগে করা হয়। এই বিনিয়োগগুলি তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়টিকে আরও স্পষ্ট করে তোলে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের বিপুল পরিমাণ অনুদান আসলে বিনিয়োগের সামিল। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু সুবিধা অর্জনের লক্ষ্য থাকে, যা অনেক সময় সরাসরি বলা হয় না। গ্রিনল্যান্ড ইস্যুতেও তেমন কিছু ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জ্যাঁ ডি. ভ্যাক গ্রিনল্যান্ড সফর করেছেন, যা দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বিতর্কের অংশ। ট্রাম্প বিভিন্ন সময়ে গ্রিনল্যান্ডকে “যেকোনো উপায়ে” নিজের করে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

গ্রিনল্যান্ডের বিরল খনিজ পদার্থের “আধুনিক স্বর্ণখনি” তৈরিতে বিনিয়োগ করেছেন মেটা’র মার্ক জাকারবার্গ, ওপেনএআই-এর স্যাম অল্টম্যান, অ্যামাজনের জেফ বেজোস এবং সিলিকন ভ্যালির আরও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এছাড়াও, ক্রিটিক্যাল মেটালস কর্পোরেশন-এর প্রধান বিনিয়োগকারী ক্যান্টর ফিটজেরাল্ড নামক একটি হেজ ফান্ড, যার নেতৃত্বে ছিলেন ট্রাম্পের বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুৎনিক। এই কোম্পানির অন্যান্য প্রধান বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রয়েছে ভ্যানগার্ড, ব্ল্যাকরক, জিওড ক্যাপিটাল এবং স্টেট স্ট্রিট-এর মতো বৃহৎ প্রতিষ্ঠান, যাদের ট্রাম্প মিডিয়াতেও বড় অংকের শেয়ার রয়েছে।

অন্যদিকে, ক্রিপ্টোকারেন্সি জগতের প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও গ্রিনল্যান্ডকে তাদের বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে দেখছেন। তারা ট্রাম্প এবং রিপাবলিকানদের নির্বাচনী প্রচারণায় বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢেলেছেন। তাদের মতে, গ্রিনল্যান্ড “বিনিয়োগের এক নতুন দিগন্ত”, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (artificial intelligence) এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি শিল্পের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ডেটা সেন্টার তৈরি করা যেতে পারে। এমনকি, এই অঞ্চলের কিছু ধনী ব্যক্তি একটি “উত্তর-রাষ্ট্র” (post-state) প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছেন, যেখানে প্রযুক্তি জগতের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বসবাস করবেন এবং মঙ্গল গ্রহে উপনিবেশ গড়ার জন্য “ভূমি রূপান্তর” (terraforming) বিষয়ক গবেষণা করা হবে।

তবে, গ্রিনল্যান্ডের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং এখানকার মানুষের জীবনযাত্রা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, এখানকার রুক্ষ আবহাওয়া এবং দুর্বল অবকাঠামো সম্পদের আহরণকে অত্যন্ত কঠিন করে তোলে। তাছাড়া, গ্রিনল্যান্ডের বাসিন্দারাও এই ধরনের কোনো পদক্ষেপের বিরোধীতা করছেন।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, খনিজ সম্পদ উত্তোলনের জন্য উপযুক্ত অবকাঠামো এবং পরিবেশ এখনো গ্রিনল্যান্ডে তৈরি হয়নি। এখানকার প্রতিকূল পরিস্থিতি এবং রক্ষণাবেক্ষণের উচ্চ খরচ এই অঞ্চলের উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

অন্যদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গ্রিনল্যান্ডে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি সম্ভবত গ্রিনল্যান্ড দখলের পক্ষে জনমত তৈরির একটি কৌশল। কারণ, এখানকার পরিবেশ তেল উত্তোলনের জন্য খুব একটা অনুকূল নয়।

গ্রিনল্যান্ডে এমন অনেক মূল্যবান খনিজ পদার্থ রয়েছে, যা স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, অস্ত্র, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি প্রযুক্তি এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। চীন বর্তমানে বিশ্বের বিরল খনিজ বাজারের ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই, এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিরাপত্তা এবং শিল্পখাতে আরও বেশি সুবিধা পেতে চাইছে।

তথ্য সূত্র: *দ্য গার্ডিয়ান*

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT