এখানে উপস্থাপিত খবরটি হলো হলিউড অভিনেত্রী লিভ টেইলার এবং তাঁর বোন মিয়া টেইলারের অপ্রত্যাশিত সাক্ষাতের গল্প। এই দুই বোনের বাবা হলেন বিখ্যাত রক ব্যান্ড ‘এ্যারোস্মিথ’-এর প্রধান শিল্পী স্টিভেন টেইলার।
iHeart Radio-র ‘সিবলিং রিভেরি উইথ কেট হাডসন অ্যান্ড অলিভার হাডসন’ নামক পডকাস্টে এই দুই বোন তাঁদের প্রথম সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করেছেন।
ছোটবেলায় লিভ এবং মিয়ার বেড়ে ওঠা হয় আলাদাভাবে। লিভ বড় হয়েছিলেন মেইন রাজ্যে, আর মিয়ার বেড়ে ওঠা নিউ হ্যাম্পশায়ারে। তাঁদের মা যথাক্রমে বেবে বুয়েল এবং সিরিন্ডা ফক্স দুজনেই তাঁদেরকে নিয়ে একটি ‘এ্যারোস্মিথ’ কনসার্টে গিয়েছিলেন।
সেই কনসার্টেই প্রথম দেখা হয় লিভ ও মিয়ার।
মিয়া জানান, “আমরা তখন ব্যাকস্টেজ-এ খেলা করছিলাম, সেখানে অন্য কোনো বাচ্চা ছিল না। হঠাৎ একজন এসে আমাদের দিকে তাকিয়ে জানতে চাইলেন, ‘তোমরা কি বোন?’।”
আসলে, লিভ শৈশবে অন্য এক পরিচয়ে বড় হয়েছেন। তাঁর মা বেবে বুয়েল, যিনি একসময় রকস্টার টড র্যান্ডগ্রেনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। লিভের জন্মসনদেও টড র্যান্ডগ্রেন-এর নাম ছিল।
এই কারণে, লিভ ছোটবেলায় জানতেন না যে স্টিভেন টেইলার তাঁর বাবা।
সেই রাতে ‘এ্যারোস্মিথ’-এর কনসার্টে ‘গানস এন’ রোজস’ তাদের গান পরিবেশন করছিল। লিভ জানান, তিনি যখন মঞ্চের দিকে তাকিয়ে ছিলেন, তখন তাঁর মনে হয়েছিল যেন তিনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। কারণ, তিনি দেখতে পান, তাঁর মতোই পোশাক পরা একজন মেয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে আছে।
তাদের দুজনের পরনে ছিল ‘এ্যারোস্মিথ’-এর টি-শার্ট, কালো লেগিংস, এবং স্পাইরাল করা চুল।
মিয়া আরও জানান, সেই কনসার্টে ‘গানস এন’ রোজস’-এর প্রধান শিল্পী অ্যাক্সেল রোজ প্রায়ই ‘সুইট চাইল্ড ও’ মাইন’ গানটি তাঁর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতেন।
পরে, লিভের মা তাঁকে আসল ঘটনা জানান। লিভ তখন জানতে পারেন, মিয়াই তাঁর বোন এবং স্টিভেন টেইলার তাঁর বাবা।
এই ঘটনার পর, লিভ তাঁর বাবার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেন। যদিও এই সত্য উদ্ঘাটনের ফলে লিভের জীবনে অনেক পরিবর্তন আসে, তবে তিনি তাঁর ‘পালক পিতা’ টড র্যান্ডগ্রেন-এর প্রতি সবসময় কৃতজ্ঞ ছিলেন।
বর্তমানে, লিভ এবং মিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। এই ঘটনা তাঁদের জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা তাঁদের পারিবারিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করেছে।
তথ্যসূত্র: পিপল