ব্রাইটন ও হোভ অ্যালবিওনের তরুণ মিডফিল্ডার কার্লোস বালেবা, যিনি ক্যামেরুনের হয়ে খেলেন, বর্তমানে ফুটবল বিশ্বে বেশ পরিচিত একটি নাম। মাঠের খেলায় তার অসাধারণ দক্ষতা এবং কঠোর পরিশ্রমের মানসিকতা তাকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।
বালেবার উত্থান যেন এক অনুপ্রেরণামূলক গল্প, যা বাংলাদেশের তরুণ ফুটবলারদের জন্য দৃষ্টান্তস্বরূপ।
মাত্র ২১ বছর বয়সেই বালেবা প্রিমিয়ার লিগে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন। ফরাসি ক্লাব লিলের হয়ে খেলার পর তিনি ব্রাইটনে যোগ দেন।
বালেবার খেলা দেখে অনেকেই মুগ্ধ, কারণ তার মধ্যে রয়েছে অসাধারণ গতি, বল দখলের ক্ষমতা এবং খেলার কৌশল। বালেবাকে ভবিষ্যতের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বালেবার ফুটবল জীবনের পেছনে রয়েছে তার বাবার কঠোর প্রশিক্ষণ। বালেবার বাবা ইউজিন বালেবা একসময় পেশাদার ফুটবল খেলতেন এবং তিনিই ছিলেন তার প্রথম কোচ।
বাবার তত্ত্বাবধানে ছোটবেলা থেকেই বালেবা কঠোর অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। বাবার পরামর্শে, শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে তিনি জিমন্যাস্টিকসের প্রশিক্ষণও নিয়েছেন।
এমনকি, গোল করার পর ব্যাকফ্লিপ করাটাও তার বাবার শেখানো কৌশল। বালেবা বলেন, “আমার বাবা বলেছিলেন, অ্যাক্রোব্যাটিক শিখলে বলের ওপর টাইমিংয়ে সুবিধা হবে।
বালেবার সাফল্যের পেছনে তার মায়ের অবদানও অনেক। বালেবা যখন লিলের হয়ে খেলতেন, তখন তার মা মারা যান।
মায়ের মৃত্যু তাকে গভীরভাবে শোকাহত করে। তিনি সবসময় মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে চেয়েছেন।
বালেবা তার মায়ের প্রতি সম্মান জানাতে ক্যামেরুনে একটি বাড়ি তৈরি করেছেন।
ইংল্যান্ডে এসে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা বালেবার জন্য শুরুতে কঠিন ছিল। তবে ব্রাইটনের বর্তমান কোচ ফ্যাবিয়ান হুরজেলার মতে, বালেবার “আনন্দময় চরিত্র” তাকে দ্রুত মানিয়ে নিতে সাহায্য করেছে।
বালেবা বলেন, “আমি খুব খুশি। যদি কেউ মনমরা হয়ে থাকে, তাহলে আমার সঙ্গে হাসিখুশি কথা বললে হয়তো তাদের ভালো লাগবে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, লিভারপুল এবং ম্যানচেস্টার সিটির মতো বড় ক্লাবগুলো বালেবাকে দলে ভেড়াতে আগ্রহী।
বালেবা নিজেও একজন বড়মাপের খেলোয়াড় হতে চান। তিনি বলেন, “আমি একজন বড় মাপের মিডফিল্ডার হতে চাই, বিশ্বজুড়ে কিংবদন্তি হতে চাই। সেখানে পৌঁছতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
বালেবার এই দৃঢ় মানসিকতা এবং কঠোর পরিশ্রম তাকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে, এমনটাই প্রত্যাশা। বালেবার সাফল্যের গল্প শুধু একজন ফুটবলারের উত্থান নয়, এটি একটি পরিবারের স্বপ্নপূরণেরও গল্প।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান