বর্ষাকালে অথবা গরমের দুপুরে এক গ্লাস ঠান্ডা পানীয়ের স্বাদ নিতে কার না ভালো লাগে? আজকাল বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্যানড্ ড্রিঙ্কসের চাহিদা বাড়ছে, যা বাইরে ঘোরাঘুরি বা বন্ধুদের সাথে আড্ডায় বাড়তি আনন্দ যোগ করে।
সহজে বহনযোগ্য এবং নানান স্বাদের এই পানীয়গুলো এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। যুক্তরাজ্যে ক্যানড্ ড্রিঙ্কস নিয়ে একটি পর্যালোচনা প্রকাশিত হয়েছিল, যেখানে বিভিন্ন স্বাদের ক্যানড্ পানীয়ের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
সেই আলোচনার আলোকে, চলুন জেনে নিই বাংলাদেশে পাওয়া যেতে পারে এমন কিছু ক্যানড্ ড্রিঙ্কস এবং তাদের স্বাদ ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।
প্রথমেই আসা যাক হার্ড সেল্টজার-এর কথায়। হার্ড সেল্টজার হলো হালকা স্বাদের স্পার্কলিং ওয়াটার, যাতে সামান্য পরিমাণে অ্যালকোহল মেশানো থাকে।
সাধারণত এটি ফল ও ভেষজ উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। বাংলাদেশে হার্ড সেল্টজার সেভাবে পরিচিত না হলেও, হালকা মিষ্টি ও ফলের স্বাদের স্পার্কলিং ওয়াটার-এর চাহিদা বাড়ছে। এই ধরনের পানীয় গরমে শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
যারা সাদা ওয়াইন পছন্দ করেন, তাদের জন্য ক্যানড্ সাদা ওয়াইন একটি দারুণ বিকল্প হতে পারে। যদিও বাংলাদেশে সরাসরি ক্যানড্ সাদা ওয়াইন পাওয়া নাও যেতে পারে, তবে ভালো মানের ওয়াইন শপগুলোতে পছন্দের সাদা ওয়াইন খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।
ক্যানড্ ককটেলও এখন বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। বিভিন্ন ফলের রস, হার্বস এবং স্পিরিট-এর মিশ্রণে তৈরি এই ককটেলগুলো যেকোনো পার্টি বা গেট-টুগেদার-এর জন্য আদর্শ। নানান ব্র্যান্ডের ক্যানড্ ককটেল এখন সহজেই পাওয়া যায়।
স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের জন্য কম ক্যালোরির পানীয় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কম ক্যালোরির তালিকায় কোম্বুচা-র নাম উল্লেখযোগ্য।
এটি এক ধরনের ফারমেন্টেড্ টি-ড্রিঙ্ক, যা প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ এবং হজমে সহায়তা করে। বাংলাদেশে কোম্বুচা এখনো খুব পরিচিত না হলেও, স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের মধ্যে এর চাহিদা বাড়ছে।
যারা একটু ভিন্ন স্বাদের পানীয় পছন্দ করেন, তাদের জন্য মিড বা মধু দিয়ে তৈরি পানীয় একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। এটি সাধারণত বিভিন্ন ফলের নির্যাস এবং মধুর সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়।
এছাড়াও, বাজারে বিভিন্ন ফলের নির্যাস এবং ফ্লেভার যুক্ত পানীয় পাওয়া যায়, যা ক্যান-এ পরিবেশন করা হয়। এগুলো সাধারণত নন-অ্যালকোহলিক এবং বিভিন্ন স্বাদে পাওয়া যায়, যা গরমের দিনে তৃষ্ণা মেটাতে দারুণ কার্যকর।
ক্যানড্ ড্রিঙ্কস-এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর বহনযোগ্যতা এবং ব্যবহারের সহজতা। আপনি যেকোনো জায়গায়, যেমন—পার্কে, সমুদ্র সৈকতে বা বন্ধুদের সাথে আড্ডায় এই পানীয়গুলো উপভোগ করতে পারেন।
বাজারে উপলব্ধ বিভিন্ন স্বাদের ক্যানড্ ড্রিঙ্কস থেকে আপনার পছন্দের পানীয়টি বেছে নিতে পারেন।
এই নিবন্ধটি যুক্তরাজ্যের ক্যানড্ ড্রিঙ্কস বিষয়ক একটি পর্যালোচনার দ্বারা অনুপ্রাণিত, তবে এটি বিশেষভাবে বাংলাদেশের বাজারে উপলব্ধ বা সহজলভ্য পানীয়গুলির ওপর আলোকপাত করে।
তথ্য সূত্র: The Guardian