সyracuse-এর একটি উচ্চ বিদ্যালয় Lacrosse দলের খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, দলের ১১ জন খেলোয়াড় তাদের জুনিয়র খেলোয়াড়দের সাথে এমন কিছু করেছে যা ‘হাজিং’-এর থেকেও অনেক বেশি গুরুতর।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের এই ঘটনা বর্তমানে সেখানকার জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, অভিযুক্ত খেলোয়াড়রা তাদের দলের কয়েকজন কম বয়সী খেলোয়াড়কে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তারা তাদের বন্দী করে, তাদের চোখে কাপড় বেঁধে এবং মারধর করে।
জানা গেছে, ঘটনাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং এর পেছনে তাদের একটি খারাপ উদ্দেশ্য ছিল। এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।
স্থানীয় প্রসিকিউটর অফিসের প্রধান, উইলিয়াম ফিৎস প্যাট্রিক জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজন তাদের জুনিয়র খেলোয়াড়দেরকে প্রথমে একটি ফাস্ট ফুডের দোকানে নেওয়ার কথা বলে, পরে একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা অপহরণের ভান করে, তাদের মারধর করে এবং পরে একটি জঙ্গলে ফেলে রেখে আসে।
এই ঘটনার একটি ভিডিও চিত্রও পুলিশের হাতে এসেছে, যেখানে অভিযুক্তদের কয়েকজনকে হাসাহাসি করতে দেখা গেছে।
এই ঘটনার জেরে অভিযুক্ত খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ আনা হতে পারে, যা একটি গুরুতর অপরাধ।
প্রসিকিউটর অফিস তাদের আত্মসমর্পণের জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়েছে। আত্মসমর্পণ না করলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে এবং প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে তাদের বিচার করা হবে।
এদিকে, ঘটনার পর স্কুলের পক্ষ থেকে Lacrosse দলের খেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের সুপারিনটেনডেন্ট স্টিফেন ডানহ্যাম জানিয়েছেন, hazing বা র্যাগিং কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এই ঘটনার জেরে ক্রীড়াঙ্গনে খেলোয়াড়দের মধ্যে সম্মান ও নৈতিকতার গুরুত্ব নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
তথ্য সূত্র: CNN