নটিংহ্যাম ফরেস্ট: ইউরোপীয় ফুটবলে ফেরার পথে মালিকের ক্ষমতা হস্তান্তর।
ঐতিহ্যপূর্ণ ইংলিশ ফুটবল ক্লাব নটিংহ্যাম ফরেস্টের মালিক ইভাঞ্জেলোস মারিনাকিস ক্লাবটির নিয়ন্ত্রণ থেকে সাময়িকভাবে সরে দাঁড়াচ্ছেন। এর কারণ, ক্লাবটি সম্ভবত আগামী মৌসুমে ইউরোপীয় ফুটবলে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে।
মারিনাকিসের মালিকানাধীন গ্রিক ক্লাব অলিম্পিয়াকোস চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার জন্য ইতোমধ্যে যোগ্যতা অর্জন করেছে।
ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফার নিয়ম অনুযায়ী, একই ব্যক্তি দুটি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না, যদি সেই ক্লাবগুলো একই প্রতিযোগিতায় খেলার সম্ভাবনা রাখে।
মারিনাকিসের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হচ্ছে। নটিংহ্যাম ফরেস্ট যদি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে, তাহলে তার মালিকানাধীন দুটি ক্লাব একই প্রতিযোগিতায় খেলবে, যা নিয়ম বহির্ভূত।
এই কারণে মারিনাকিস তার শেয়ার একটি ‘blind trust’-এর কাছে জমা দিয়েছেন।
ফুটবল ইতিহাসে নটিংহ্যাম ফরেস্টের একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। একসময় তারা ইউরোপ সেরা ক্লাবের স্বীকৃতিও পেয়েছে।
তবে দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষ পর্যায়ে তাদের দেখা যায়নি। এবার তারা প্রিমিয়ার লিগে ভালো পারফর্ম করছে এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
যদি তারা সত্যিই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে, তবে তা হবে ক্লাবটির জন্য একটি বিশাল সাফল্য।
নটিংহ্যাম ফরেস্টের বর্তমান পারফরম্যান্স বেশ আশা জাগানিয়া। দলটির ম্যানেজার নুনো এসপিরিতো সান্টোর অধীনে খেলোয়াড়রা দারুণ খেলছে।
ব্রেন্টফোর্ড, ক্রিস্টাল প্যালেস, লেস্টার, ওয়েস্ট হ্যাম এবং চেলসির মতো শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে এখনো তাদের খেলা বাকি আছে। এই ম্যাচগুলোর ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে তাদের ইউরোপীয় ফুটবলে খেলার সম্ভাবনা।
১৯৯৫-৯৬ মৌসুমের পর এই প্রথম তারা ইউরোপের কোনো প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ পেতে পারে। এমনকি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেললে ১৯৮০-৮১ মৌসুমের পর আবার শীর্ষ পর্যায়ে তাদের দেখা যাবে।
বিষয়টি শুধু নটিংহ্যাম ফরেস্টের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং ফুটবলের জন্য একটি উদাহরণ। একটি দল কিভাবে কঠোর পরিশ্রম ও ভালো ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সাফল্যের শিখরে উঠতে পারে, তা নটিংহ্যাম ফরেস্ট প্রমাণ করতে চাইছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।