আর্টিকেল:
আধুনিক সাজসজ্জার ধারণায় সমুদ্র উপকূলের ছোঁয়া: ঘর সাজানোর নতুন দিগন্ত
বর্তমানে, রুচিশীল এবং আকর্ষণীয় গৃহসজ্জার দিকে মানুষের ঝোঁক বাড়ছে। এই পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে, বাইরের অনেক ডিজাইন এখন আমাদের দেশেও জনপ্রিয় হচ্ছে।
সম্প্রতি, একটি নতুন সংগ্রহ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, যা ডিজাইন এবং দামের দিক থেকে বেশ উল্লেখযোগ্য। যদিও সরাসরি এই পণ্যগুলো আমাদের দেশে পাওয়া যায় না, তবে এর ডিজাইন এবং ধারণাগুলো আমাদের ঘর সাজানোর অনুপ্রেরণা দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিখ্যাত বিপণি সংস্থা সম্প্রতি “মেইনস্টেজ বাই বেকি জি. ও আলেকজান্দ্রা” নামের একটি নতুন সংগ্রহ চালু করেছে। এই সংগ্রহটি সমুদ্র উপকূলের ঘর সাজানোর ধারণা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
এখানে রয়েছে আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং স্বল্প মূল্যের নানা উপকরণ। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, এই সংগ্রহের প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম ২০ মার্কিন ডলারের নিচে রাখা হয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২,২০০ টাকার মতো।
সংগ্রহটিতে কি কি আছে?
এই সংগ্রহে ডিনার সেট থেকে শুরু করে, কুশন, কার্পেট, ফুলদানি, আরও অনেক কিছুই রয়েছে।
এই ডিজাইনগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য হলো উজ্জ্বল রং এবং আকর্ষণীয় নকশা।
যেমন ধরুন, বাটির সেট-গুলি (Serve Bowl Set)। এই বাটিগুলো তৈরি করা হয়েছে পরিবেশ-বান্ধব বাঁশ এবং মেলামাইন দিয়ে, যা সহজে ভাঙে না।
লেবু এবং কমলা রঙের প্রিন্ট করা বাটিগুলো খাবার পরিবেশনের জন্য আদর্শ।
ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে, নীল রঙের ঢেউ খেলানো কুশন (Blue Eyes Scallop Pillow) ব্যবহার করা যেতে পারে।
১৮ ইঞ্চি আকারের এই কুশনগুলো বসার ঘর বা বেডরুমের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
ঘরের মেঝেতে ব্যবহারের জন্য সবুজ এবং সাদা ডোরাকাটা কার্পেট (Green Stripe Scallop Outdoor Layering Rug) বেশ উপযোগী।
এটি ইনডোর এবং আউটডোর উভয় স্থানে ব্যবহার করা যেতে পারে।
এছাড়াও, সিরামিকের তৈরি নীল রঙের ফুলদানি (Blue Stripe Ceramic Pitcher Vase) ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
এই ফুলদানিটি একদিকে যেমন পানীয় পরিবেশনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, তেমনই ফুল রাখার কাজেও এটি দারুণ।
এই সংগ্রহটি, আমাদের ঘর সাজানোর ধারণাকে নতুন রূপে সাজাতে পারে।
যদিও সরাসরি এই পণ্যগুলো আমাদের দেশে পাওয়া যাবে না, তবে এর ডিজাইন এবং ধারণা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে, স্থানীয় বাজার থেকে অনুরূপ পণ্য খুঁজে নেওয়া যেতে পারে।
এই ধরনের ডিজাইন অনুসরণ করে, সীমিত বাজেট এর মধ্যেও রুচিশীল ঘর তৈরি করা সম্ভব।
তথ্য সূত্র: পিপল