মাইকেল বি. জর্ডান অভিনীত নতুন ভ্যাম্পায়ার থ্রিলার সিনেমা ‘সিনার্স’-এর শুটিং চলাকালীন সময়ে, প্রচুর পরিমাণে কৃত্রিম রক্তের ব্যবহার নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে ছিলেন অভিনেতা।
সিনেমার সেটে এর প্রভাব নিয়ে জরুরি বৈঠক পর্যন্ত করতে হয়েছিল প্রযোজকদের। সিনেমার গল্প ১৯৩০-এর দশকের মিসিসিপির প্রেক্ষাপটে নির্মিত, যেখানে জর্ডানকে স্মোক ও স্ট্যাক নামের যমজ দুই ভাইয়ের চরিত্রে দেখা যাবে।
সিনেমার পরিচালক রায়ান কুগলার জানিয়েছেন, এই ছবিতে ভ্যাম্পায়ারদের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলার জন্য প্রচুর পরিমাণে রক্তের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু জর্ডান এই রক্তের ব্যবহার নিয়ে আপত্তি জানালে, নির্মাতাদের জরুরি ভিত্তিতে একটি বৈঠকের আয়োজন করতে হয়।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কুগলার জানান, “শুটিংয়ের কয়েক সপ্তাহ পর প্রযোজক ও আমার স্ত্রী, যিনি এই সিনেমারও প্রযোজক, জর্ডানের অভিযোগের বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, রক্তের কারণে মাইকেল খুব একটা স্বচ্ছন্দ্য বোধ করছেন না।”
জর্ডান এই প্রসঙ্গে বলেন, “আসলে, অভিযোগ করা আর মনের ভাব প্রকাশ করার মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। আমি মূলত আমার অস্বস্তি প্রকাশ করছিলাম, তবে তারা আমাকে নিয়ে বেশ যত্নশীল ছিলেন, তাই একটা মিটিং হয়েছিল। আমি মিটিংটা উপভোগ করেছি।”
সিনেমায় জর্ডানের সহ-অভিনেত্রী হেইলি স্টেইনফেল্ড এবং ওয়ানমি মোসাকুও এই কৃত্রিম রক্তের ব্যবহারের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন।
মোসাকু জানান, “বিশেষজ্ঞরা আমাদের শরীরে তার লাগিয়ে দিচ্ছিলেন এবং সেই সময়ে রক্ত ছিটিয়ে চারিদিক রক্তাক্ত হয়ে যাচ্ছিল। এতে অস্বস্তি হলেও সেটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়েছে।”
স্টেইনফেল্ড আরও যোগ করেন, “রক্তগুলো খুব আঠালো ছিল, যা আমাদের আগে জানানো হয়নি। মেকআপ আর্টিস্টদের বারবার স্প্রে বোতল দিয়ে আমাদের আঙুল থেকে সেই আঠা ছাড়াতে হয়েছে।
কারণ, আঙুলগুলো একসাথে লেগে যাচ্ছিল।” শুটিং শেষে এই রক্তের দাগ তোলার জন্য গরম জল এবং তোয়ালে ব্যবহার করতে হয়েছে বলে জানান স্টেইনফেল্ড।
‘সিনার্স’-এর শুটিং মূলত ২০২৪ সালের বসন্তে লুইজিয়ানার নিউ অরলিন্স এবং আশেপাশের এলাকায় হয়েছে।
গরম আবহাওয়ার কারণেও অনেক সমস্যা হয়েছিল। মোসাকু জানান, জর্ডানের কাছ থেকে তারা শিখেছিলেন যে, কোনো বিষয়ে অভিযোগ না করে পরিস্থিতি মেনে নিতে হয়।
সিনেমার গল্পে, জর্ডান যমজ দুই ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। যাদের একজন ভ্যাম্পায়ার এবং অন্যজন তার শিকার। সিনেমাটি বর্তমানে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে।
তথ্যসূত্র: পিপল