ইংলিশ প্রিমিয়ারশিপ রাগবি: প্লে-অফের দৌড়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।
ইংল্যান্ডে রাগবি প্রিমিয়ারশিপের মৌসুম শেষের দিকে, আর প্লে-অফে খেলার জন্য দলগুলোর মধ্যে চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা। শীর্ষ দলগুলো এখন প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত করতে মরিয়া।
মাঠের খেলায় যেমন উত্তেজনা, তেমনি মাঠের বাইরের আলোচনাও জমে উঠেছে।
আগামী কয়েক সপ্তাহে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
সারাসেনস-এর মুখোমুখি হতে চলেছে গ্লস্টার, সেইল খেলবে হার্লেকুইনস-এর বিরুদ্ধে, এবং ব্রিস্টল-এর সাথে লিস্টার-এর খেলাও গুরুত্বপূর্ণ।
এই ম্যাচগুলো প্লে-অফের দৌড়ে বড় প্রভাব ফেলবে। বর্তমানে, শীর্ষ সাতটি দলের মধ্যে পয়েন্টের ব্যবধান খুবই কম।
শীর্ষ দল বাথ-এর থেকে সপ্তম স্থানে থাকা দলের পয়েন্টের পার্থক্য সামান্য। এই পরিস্থিতিতে, প্রতিটি ম্যাচই যেন ফাইনাল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্লে-অফের দৌড় এতটাই কঠিন যে, যেকোনো দলই অন্যকে হারাতে সক্ষম। তবে, এই অনিশ্চয়তা অনেক দর্শকের কাছে খেলার আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
প্রিমিয়ারশিপের খেলার সময়সূচীও বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
মাঝেমধ্যে ইউরোপীয় সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য বিরতি থাকায় দলগুলোর ছন্দ বজায় রাখতে সমস্যা হচ্ছে।
অনেক কোচ মনে করেন, খেলার ধারাবাহিকতা থাকলে প্লে-অফের জন্য প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হতো।
অন্যদিকে, খেলোয়াড়দের ফিটনেস এবং খেলার সুযোগের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
উদাহরণস্বরূপ, মার্কাস স্মিথ এবং জর্জ ফোর্ড-এর মতো খেলোয়াড়দের খেলার সময়সীমা ম্যানেজ করতে হচ্ছে, কারণ তাঁদের ব্রিটিশ ও আইরিশ লায়ন্স-এর দলে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
দলগুলোর মধ্যে কৌশলগত ভিন্নতাও দেখা যাচ্ছে।
সেইল, লেস্টার এবং সারাসেনস-এর মতো দলগুলো প্লে-অফের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে, অন্যদিকে হার্লেকুইনস, ব্রিস্টল এবং গ্লস্টার কিছুটা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।
লেস্টার দলের জন্য মাঠের বাইরের পরিস্থিতিও খুব একটা ভালো নয়।
কোচ মাইকেল চেকিয়ার বিদায়ের সিদ্ধান্ত তাদের উপর প্রভাব ফেলেছে। দলের নতুন কোচ নিয়োগ নিয়েও জটিলতা দেখা দিয়েছে।
সব মিলিয়ে, প্রিমিয়ারশিপ রাগবি এখন এক চরম উত্তেজনাকর পর্যায়ে পৌঁছেছে।
প্লে-অফের লড়াইয়ে কোন দল শেষ হাসি হাসে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান