বিশ্ব স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপ: নতুন দিগন্তের হাতছানি?
প্রতি বছর, বিশ্ব স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপ (World Snooker Championship)-এর দিকে সারা বিশ্বের ক্রীড়াপ্রেমীদের চোখ থাকে। এই বছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
তবে এবারের আসরটি শুধু খেলাধুলার দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং স্নুকারের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রতিবারের মতো এবারও ব্রিটেনের শেফিল্ডের “ক্রুসিবল থিয়েটারে” (Crucible Theatre) বসতে চলেছে এই টুর্নামেন্টের আসর।
খেলোয়াড়দের মধ্যে পরিচিত মুখ তো রয়েছেনই, সেই সঙ্গে রয়েছে কিছু নতুন সম্ভাবনা। সবার নজর থাকবে প্রায় ৫ লক্ষ পাউন্ডের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭ কোটি টাকার বেশি) প্রাইজমানির দিকে, যা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে এনে দেবে বিপুল খ্যাতি।
স্নুকারের কিংবদন্তি খেলোয়াড়, রনি ও’ সুলিভান (Ronnie O’Sullivan)-এর দিকে সবার দৃষ্টি থাকবে, যিনি ১৯৯২ সাল থেকে পেশাদার স্নুকার খেলোয়াড় হিসেবে এই টুর্নামেন্টে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন।
যদিও খেলা শুরুর আগে পর্যন্ত তিনি তেমন একটা আলোচনায় ছিলেন না। অনেকের মতে, এবারের আসরে জুড ট্রাম্প (Judd Trump) অন্যতম ফেভারিট।
তিনি বর্তমানে বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড়। অন্যদিকে, গতবারের চ্যাম্পিয়ন কাইরেন উইলসন (Kyren Wilson)-এর দিকেও থাকবে সকলের নজর।
তবে এবার সবচেয়ে বড় চমক হলো, চীনের খেলোয়াড়দের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি।
রেকর্ড সংখ্যক ১০ জন চীনা খেলোয়াড় এবারের আসরে অংশ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন ঝাও জিনতোং (Zhao Xintong), যিনি সম্প্রতি ফিক্সিং কেলেঙ্কারি থেকে ফিরে এসেছেন।
এছাড়াও, চীনের তরুণ খেলোয়াড়দের মধ্যে সি জিয়াহুই (Si Jiahui) এবং উ ইজে (Wu Yize)-এর দিকেও অনেকে তাকিয়ে আছেন।
খেলা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তরুণ চীনা খেলোয়াড়রা স্নুকারের জগতে নতুন তারকা এনে দিতে পারে। তাদের হাত ধরে হয়তো চীনেও স্নুকারের জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে।
ঐতিহ্যগতভাবে, এই টুর্নামেন্টে যারা প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হন, তাদের পরের বছর তেমন ভালো ফল করার নজির নেই।
“ক্রুসিবল কার্স” (Crucible Curse) নামে পরিচিত এই অভিশাপের দিকেও অনেকে নজর রাখছেন।
এই বছর, অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের পাশাপাশি তরুণ প্রতিভারাও ভালো ফল করার জন্য মুখিয়ে আছেন।
সব মিলিয়ে, এবারের বিশ্ব স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপ স্নুকারপ্রেমীদের জন্য একটি দারুণ আকর্ষণীয় হতে চলেছে, যেখানে পুরনো এবং নতুন তারকারা তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্য লড়বেন।
খেলাধুলার এই মহারণে কে হাসে শেষ হাসি, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান