বিখ্যাত গ্র্যামি জয়ী সঙ্গীত শিল্পী ম্যারেন মরিস সম্প্রতি তার নতুন গান ‘বেড নো ব্রেকফাস্ট’ নিয়ে এসেছেন, যা তার আসন্ন অ্যালবাম ‘ড্রিমসিকল’-এর অংশ। এই অ্যালবামটি আগামী ৯ই মে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
বিবাহ বিচ্ছেদের পর আধুনিক সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে লেখা এই গানটি এরই মধ্যে শ্রোতাদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে।
৩৫ বছর বয়সী এই সঙ্গীত শিল্পী সম্প্রতি কোচেলা উৎসবেও পারফর্ম করেছেন।
নতুন গানটি প্রসঙ্গে তিনি জানান, গানটি লেখার পুরো প্রক্রিয়াটি ছিল বেশ মজার। এই গানটি যেন আধুনিক সম্পর্কের বাস্তবতাকে তুলে ধরে।
গানের কথায়, মরিস এক রাতের সম্পর্কের পর সঙ্গীকে বিদায় জানাচ্ছেন এবং সম্পর্কের পর তার ভালো থাকার প্রত্যাশা করছেন। “বেড নো ব্রেকফাস্ট” গানটি মূলত *ড্রিমসিকল* অ্যালবামের একটি অংশ, যেখানে মরিস তার ব্যক্তিগত জীবনের নানা পরিবর্তন ফুটিয়ে তুলেছেন, যার মধ্যে রয়েছে সহশিল্পী এবং প্রাক্তন স্বামী রায়ান হার্ডের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ এবং কান্ট্রি মিউজিক জগৎ থেকে কিছুটা দূরে সরে আসার সিদ্ধান্ত।
“ক্যারি মি থ্রু” গানটি যেখানে জীবনের কঠিন সময়ে টিকে থাকার অনুপ্রেরণা যোগায়, সেখানে ‘বেড নো ব্রেকফাস্ট’ কিছুটা হালকা মেজাজের।
মরিস জানান, তিনি তার শ্রোতাদের চমকে দিতে চেয়েছিলেন। যারা হয়তো ভেবেছিলেন অ্যালবামটি শুধুমাত্র “ক্যারি মি থ্রু”-এর মতোই আবেগপূর্ণ হবে, তাদের জন্য এই গানটি ছিল অপ্রত্যাশিত।
গানের মাধ্যমে তিনি নিজের টেক্সান জীবনের কিছু দিক তুলে ধরেছেন।
বর্তমানে, নতুন করে ডেটিং করার কোনো পরিকল্পনা নেই মরিসের। তিনি মনে করেন, এখন তার প্রধান মনোযোগ কাজ, নিজের এবং ৫ বছর বয়সী ছেলে হেইসের প্রতি।
তবে ভবিষ্যতে যদি সুযোগ আসে, তাহলে তিনি সম্পর্ক গড়তে আপত্তি করবেন না।
সংগীতের পাশাপাশি, ম্যারেন মরিস বর্তমানে একটি চিনিমুক্ত, ভেষজ এনার্জি ড্রিংক ‘রেইন স্টর্ম’-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবেও কাজ করছেন।
গত বছর ট্যুরে থাকাকালীন তিনি প্রথম এই পানীয়টির সঙ্গে পরিচিত হন।
তখন তিনি তার ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণে ছিলেন। একদিকে মা হিসেবে ছেলের দেখাশোনা, অন্যদিকে কনসার্টের প্রস্তুতি— সব সামলাতে তার এনার্জির প্রয়োজন হতো।
তাই তিনি এই পানীয়টি ব্যবহার করতেন।
মরিসের মতে, ‘রেইন স্টর্ম’-এর মূল ধারণা হলো জীবনকে আরও সুন্দরভাবে উপভোগ করা।
তিনি এখন সবকিছুতে ইতিবাচকভাবে সাড়া দিচ্ছেন।
নিজের আত্মবিশ্বাসের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন তিনি কোনো কিছুতে সহজে ভয় পান না এবং ঝুঁকি নিতেও প্রস্তুত।
তথ্য সূত্র: পিপল