ব্রিটিশ এক নারীর বন্ধুদের বাড়িতে কফি না থাকায় মন খারাপ, এমন একটি ঘটনা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাজ্যে, যেখানে এক নারী তার বন্ধুদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তিনি কফি পান করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েন এবং বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে নিজের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
জানা যায়, ওই নারী সকালে ঘুম থেকে উঠে কফি খাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু বন্ধুদের বাড়িতে কফি তৈরি করার মতো কোনো উপকরণ ছিল না।
এতে তিনি এতটাই মন খারাপ করেন যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, কফি ছাড়া তার দিন শুরু করা কঠিন।
কফি পানের তীব্র আকাঙ্ক্ষা থেকে তিনি কাছাকাছি কোনো কফি শপ খুঁজে বের করারও চেষ্টা করেন, কিন্তু সেগুলোর সময়সূচী তার জন্য উপযুক্ত ছিল না।
বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় অনলাইন ফোরাম ‘মামসনেটে’ আলোচনা শুরু হয়। ওই নারীর পোস্টের নিচে অনেকেই মন্তব্য করেন।
অনেকে মনে করেন, বন্ধুদের বাড়িতে কফি নাও থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে নিজের কফি সঙ্গে রাখা উচিত ছিল। আবার কেউ কেউ বলেছেন, কফি না পেলে চা-ও পান করা যেতে পারে।
সাধারণত, পশ্চিমা বিশ্বে কফি পানের অভ্যাস বেশ প্রচলিত। অনেক সংস্কৃতিতে সকালে কফি পান করাটা একটি নিয়মিত ঘটনা।
বাংলাদেশেও ইদানীং কফি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, তবে চায়ের তুলনায় এর ব্যবহার এখনো অনেক কম। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, কফি পানের অভ্যাস এবং এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিভিন্ন জনের ভিন্ন মত দেখা যায়।
মোটকথা, বন্ধুদের বাড়িতে কফি না পাওয়ার কারণে এক নারীর মন খারাপের ঘটনা অনলাইনে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই ঘটনা কফি পানের অভ্যাস এবং এর সংস্কৃতিগত দিকগুলোকেও সামনে নিয়ে আসে।
তথ্য সূত্র: পিপল