ফোর্ড-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিম ফার্লি জানিয়েছেন, নতুন শুল্কের কারণে গাড়ির দাম বৃদ্ধির আশঙ্কার মধ্যে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে, কর্মীদের জন্য নির্ধারিত বিশেষ মূল্যে গাড়ি বিক্রির অফারটি আগামী ৪ঠা জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানির ওপর নতুন শুল্ক আরোপ হতে যাচ্ছে, যা উৎপাদন খরচ বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সিএনএন-এর সঙ্গে আলাপকালে ফার্লি জানান, এই মুহূর্তে ফোর্ড অন্যান্য গাড়ির প্রস্তুতকারকদের চেয়ে বেশি গাড়ি তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রে, তাই শুল্কের বিষয়টি তাদের জন্য কিছুটা ভিন্ন। তিনি বলেন, ফোর্ড চায় তাদের গাড়ির দাম প্রতিযোগিতামূলক রাখতে, তবে ভবিষ্যতে দাম বাড়বে কিনা, তা নির্ভর করবে প্রতিযোগীদের দামের ওপর।
কারণ, যন্ত্রাংশ আমদানির ওপর শুল্ক বৃদ্ধি উৎপাদন খরচ বাড়াবে। ফার্লি আরও জানান, সাধারণত কর্মীদের জন্য নির্ধারিত এই বিশেষ মূল্যের অফারটি এখন ক্রেতাদের জন্যেও উন্মুক্ত করা হয়েছে।
এর মূল উদ্দেশ্য হলো, নতুন শুল্কের কারণে গাড়ির দাম বেড়ে যাওয়ার যে একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, সেই পরিস্থিতিতে ক্রেতাদের মধ্যে গাড়ির চাহিদা ধরে রাখা।
যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কিছু যন্ত্রাংশ আমদানি করতে হয়, যা তারা স্থানীয়ভাবে কিনতে পারে না। আগামী শনিবার থেকে এই যন্ত্রাংশগুলোর ওপর শুল্ক কার্যকর হবে।
ফলে গাড়ির উৎপাদন খরচ বাড়বে, যা শেষ পর্যন্ত গাড়ির দামে প্রভাব ফেলতে পারে। বিশ্ব অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে, এই ধরনের শুল্ক নীতির প্রভাব বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্বজুড়ে গাড়ির বাজারে অস্থিরতা দেখা যেতে পারে, এবং এর প্রভাব বাংলাদেশের বাজারেও পড়তে পারে। গাড়ির যন্ত্রাংশ ও আমদানি নির্ভরতা এবং বিশ্ব বাজারের দামের পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের বাজারে গাড়ির দামের ওপর এর প্রভাব কেমন হবে, তা এখন দেখার বিষয়।
তথ্য সূত্র: CNN