ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে (FSU) বন্দুকের হামলায় দুই জন নিহত এবং আরও ছয়জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ফিনিক্স ইকনর নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী। তবে কিভাবে একজন শিক্ষার্থীর হাতে এমন ভয়াবহ অস্ত্র এলো, তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।
জানা গেছে, ফিনিক্স ইকনর ছিলেন স্থানীয় শেরিফের অফিসের একজন কর্মীর সৎ ছেলে। ওই নারী, জেসিকা ইকনর, একটি মিডল স্কুলে নিরাপত্তা রক্ষীর দায়িত্ব পালন করতেন।
ঘটনার সময় জেসিকা তাঁর কর্মস্থলে ছিলেন, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছিলেন।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ফিনিক্স সম্ভবত তাঁর সৎ মায়ের পুরোনো সার্ভিস হ্যান্ডগান ব্যবহার করেছিলেন। হামলার কারণ এখনো জানা যায়নি, এবং পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
ইকনরের অতীত জীবনও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা, তা নিয়েও চলছে আলোচনা। জানা গেছে, একসময় ফিনিক্সের পরিবারে একটি নাবালকের অভিভাবকত্ব নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়।
পরবর্তীতে, তিনি তাঁর নাম পরিবর্তন করেন। এছাড়াও, সহপাঠীদের সঙ্গে তাঁর আচরণ নিয়েও বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠেছিল। একটি ছাত্র ক্লাব থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়েছিল, কারণ তিনি নাকি শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদের (white supremacy) প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন।
আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে, এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে। এই ঘটনার পর, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ এবং এফবিআই যৌথভাবে ঘটনার তদন্ত করছে।
বর্তমানে, ফিনিক্স ইকনরকে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এই ঘটনার বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি, এবং কর্তৃপক্ষ দ্রুততম সময়ে ঘটনার কারণ উদঘাটনের চেষ্টা করছে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস