দিল্লিতে একটি বহুতল ভবন ধসে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে একই পরিবারের কয়েকজন সদস্যও রয়েছেন। শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ভোর ৩টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে এই খবর জানা গেছে।
জানা গেছে, চার তলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবনটি যখন ভেঙে পড়ে, তখন সেটির ভেতরে প্রায় ২২ জন লোক ছিল। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকারী দল ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা সারারাত ধরে কাজ করেছেন।
ক্রেন ও থার্মাল ক্যামেরার সাহায্যে উদ্ধার কাজ চালানো হয়।
দুর্ঘটনায় নিহত হওয়া দুই ভাতিজাকে হারানো এক ব্যক্তি জানান, “আমি হাসপাতাল থেকে এসেছি। ভবনটি আট থেকে দশ বছরের পুরনো ছিল। সেখানে পিলারের কাজ চলছিল। পুরো ভিত্তি নড়ে যায়। দুটি স্কুলগামী ছেলে চলে গেছে। সোনা, টাকা – সবকিছু ধ্বংসস্তূপের নিচে।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, “তাদের তো ভবনটি পরীক্ষা করা উচিত ছিল। আমরা বলছিলাম, বৃষ্টির পর ভবনটি কাঁপছে। কিন্তু কেউ আসেনি।
দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন জানিয়েছে, ভবনটি নির্মাণকালে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ মানা হয়নি। তারা আরও জানায়, “এলাকার অন্যান্য ভবনগুলোতেও কাঠামোগত সমস্যা থাকতে পারে। আমরা এলাকার অন্যান্য ভবনগুলোও পরিদর্শন করব।
খবর অনুযায়ী, ঘটনার সময় এক প্রতিবেশী ঘুম থেকে জেগে ওঠেন এবং ভূমিকম্পের মতো অনুভূতি হয় তার। তিনি জানান, “আমি দ্রুত ছাদের উপর যাই এবং বাতাসে ধুলো দেখতে পাই। ভবনটি দেখা যাচ্ছিল না। পরে একজন ফোন করে জানায়, ভবনটি ভেঙে পড়েছে।”
ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরাও এই ভবনে থাকতেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্সে (সাবেক টুইটার) শোক প্রকাশ করে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, “নিহতদের মৃত্যুতে আমি শোকাহত। স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করছে।
তথ্য সূত্র: পিপলস