পোপ ফ্রান্সিস আর নেই। ৮৮ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। খবরটি নিশ্চিত করেছে ভ্যাটিকান।
বিশ্বজুড়ে ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু ছিলেন তিনি। আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে জন্ম নেওয়া জর্জ মারিও বের্গোওলিও ২০১৩ সালে পোপ নির্বাচিত হন এবং ফ্রান্সিস নাম গ্রহণ করেন।
পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিশ্বজুড়ে। তিনি ছিলেন একাধারে সংস্কারপন্থী এবং মানবতাবাদী নেতা।
সাধারণ মানুষের কাছাকাছি পৌঁছাতে এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে তিনি ছিলেন অগ্রণী। গাজায় মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।
পোপের মৃত্যুর পর এখন নতুন পোপ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। সাধারণত, পোপের মৃত্যুর পর নয় দিনের শোক পালন করা হয়, যা ‘নভেন্দিয়েল’ নামে পরিচিত।
এরপর সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় তাঁর মরদেহ রাখা হয়, যেখানে সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে পারেন।
নতুন পোপ নির্বাচনের জন্য ৮০ বছরের কম বয়সী কার্ডিনালদের নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভাটি সিস্টিন চ্যাপেলে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নতুন পোপ নির্বাচিত করা হয়।
সাধারণত, এই নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হয়।
পোপ ফ্রান্সিস তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পর্কে একটি ইচ্ছা প্রকাশ করে গেছেন। তিনি কাঠের তৈরি একটি সাধারণ কফিনে সমাহিত হতে চেয়েছিলেন এবং তাঁর শেষকৃত্য সেন্টা মারিয়া ম্যাজোরেতে সম্পন্ন করারও আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
পোপের মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে শোকের আবহ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শোক প্রকাশ করেছেন এবং প্রয়াত পোপের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।
তাঁর প্রয়াণ শুধু ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের জন্য নয়, বরং বিশ্ব শান্তির জন্যও একটি বড় ক্ষতি।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা