শিরোনাম: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দৌড়ে অ্যাস্টন ভিলা: সাফল্যের শিখরে আরোহণের পথে
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (Premier League) বর্তমানে অন্যতম আলোচিত দল অ্যাস্টন ভিলা।
মাঠের খেলায় অসাধারণ পারফর্মেন্সের সুবাদে তারা এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার স্বপ্ন দেখছে। সম্প্রতি নিউক্যাসেল ইউনাইটেডকে ৪-১ গোলে হারানোর পর যেন তাদের সাফল্যের গ্রাফ আরও ঊর্ধ্বমুখী।
এই জয়ের মাধ্যমে তারা প্রমাণ করেছে, কেন তাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দৌড়ে অন্যতম দাবিদার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
কোচ উনাই এমেরির (Unai Emery) অধীনে দলটির কৌশলগত পরিবর্তন এসেছে, যা তাদের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
এমেরির ট্যাকটিক্যাল দক্ষতা এবং খেলোয়াড়দের সঠিক ব্যবহার দলটিকে আরও শক্তিশালী করেছে। খেলার ধরনে এসেছে আগ্রাসী মনোভাব, যা প্রতিপক্ষের জন্য এক বিভীষিকা স্বরূপ।
খেলোয়াড়দের মধ্যে সমন্বয় এবং মাঠের লড়াইয়ে নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার মানসিকতা দলটিকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
জানুয়ারির দলবদলে (Transfer) কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে দলে ভেড়ানো হয়, যা অ্যাস্টন ভিলার শক্তি আরও বাড়িয়েছে।
মার্কাস র্যাশফোর্ড (Marcus Rashford) এবং মার্কো অ্যাসেনসিও’র (Marco Asensio) মত খেলোয়াড়রা দলের আক্রমণভাগে যোগ হয়ে দলের ধার আরও বাড়িয়েছেন।
তাঁদের আগমনে দলের গভীরতাও বেড়েছে, যা কোচের জন্য বিভিন্ন পরিস্থিতিতে দল নির্বাচন করা সহজ করে তুলেছে।
তবে সাফল্যের পথে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে।
আর্থিক দিক থেকে ক্লাবটি এখনো স্থিতিশীল নয়। আর্থিক সঙ্গতি রক্ষার জন্য ক্লাবকে কিছু সীমাবদ্ধতা মেনে চলতে হতে পারে।
খেলোয়াড় কেনা বা দলবদলের ক্ষেত্রে এটি প্রভাব ফেলতে পারে।
অন্যদিকে, ক্লাবের মালিকানা এবং টিকিটের দাম নিয়ে কিছু সমর্থকের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে।
তারপরও মাঠের খেলায় দলের অসাধারণ পারফর্মেন্স তাঁদের হতাশাকে কিছুটা হলেও কমিয়ে দিয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারলে অ্যাস্টন ভিলার জন্য তা হবে বিশাল এক অর্জন।
এর মাধ্যমে ক্লাবটি ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় ক্লাবগুলোর মধ্যে নিজেদের স্থান আরও সুসংহত করতে পারবে।
নিঃসন্দেহে, অ্যাস্টন ভিলার এই উত্থান বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদেরও আনন্দিত করছে।
কারণ, তারা দেখছে কিভাবে একটি দল সঠিক পরিকল্পনা ও কঠোর পরিশ্রমে সাফল্যের শিখরে আরোহণ করতে পারে।
তথ্যসূত্র: The Guardian