ফুটবল বিশ্বে, কিংবদন্তী কোচের বিদায়ের পর নতুন কোচের আগমন প্রায়ই আলোচনার জন্ম দেয়। অনেক সময় দেখা যায়, নতুন আসা কোচ তাৎক্ষণিকভাবেই সাফল্যের দেখা পান।
সম্প্রতি এমন কিছু ঘটনা নিয়ে আলোচনা করা হলো, যেখানে নতুন কোচেরাই বাজিমাত করেছেন।
লিভারপুলের নতুন কোচ আর্নে স্লটকে নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। ইয়ুর্গেন ক্লপের মতো কিংবদন্তী কোচের বিদায়ের পর আর্নে স্লট কতটা সফল হবেন, তা এখন দেখার বিষয়।
অতীতেও এমন উদাহরণ রয়েছে, যখন নতুন কোচ এসে দলকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন। যেমন, ম্যাট ম্যাককুইন, জো ফাগান এবং কেনি ডালগ্লিশের মত কোচগণ লিভারপুলের হয়ে প্রথম বছরেই লীগ জিতেছেন।
মহিলা সুপার লিগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। এমা হেইজের জায়গায় চেলসির দায়িত্ব নিয়ে সোনিয়া বোমপাস্তর দলকে সাফল্যের পথে রেখেছেন। যদিও বার্সেলোনার কাছে ৪-১ গোলে হারের কারণে চেলসির সব ট্রফি জেতার সম্ভাবনা কমে গেছে, তবে অতীতে এমনটা ঘটেছে।
আয়াক্সের কিংবদন্তী কোচ রিনুস মিশেলসের উত্তরসূরি হিসেবে এসেছিলেন স্টেফান কোভাকস। কোভাকস তার প্রথম বছরেই এরিডিভিসি, কেএনভিবি কাপ এবং ইউরোপিয়ান কাপ জিতে প্রমাণ করেছিলেন তিনি কতটা যোগ্য।
এরপর তিনি ইউরোপিয়ান সুপার কাপ ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপও জেতেন। বার্সেলোনার হয়ে ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডের সাফল্যের পর পেপ গার্দিওলা যখন দায়িত্ব নেন, তখন তার সামনেও বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। গার্দিওলা তার প্রথম বছরেই বার্সেলোনাকে ট্রেবল জেতান।
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে হোসে ভিলালঙ্গার বিদায়ের পর লুইস কার্নিগ্লিয়া দলের দায়িত্ব নেন। তিনি রিয়াল মাদ্রিদকে ইউরোপিয়ান কাপ এবং লা লিগা জিতিয়েছিলেন।
অ্যাস্টন ভিলার হয়ে টনি বার্টন, আর্সেনালের হয়ে জো শ এবং এসি মিলানের হয়ে ফ্যাবিও ক্যাপেলোও নতুন দায়িত্বে এসেই সাফল্য এনে দেন।
ফুটবলে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত জীবনের গুরুত্বও এখন বাড়ছে। ১৯৮৯ সালে, কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের (QPR) মার্টিন অ্যালেন তার স্ত্রীর সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় উপস্থিত থাকার জন্য একটি ম্যাচ মিস করেছিলেন।
এই ঘটনাটি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে ইতালীয় সিরি আ’ লিগে একটি প্লে-অফ ম্যাচের ঘটনা ঘটেছিল। বোলোনিয়া ও ইন্টার মিলান সমান পয়েন্ট নিয়ে লীগ শেষ করে।
যদিও বোলোনিয়ার গোল পার্থক্য বেশি ছিল, কিন্তু নিয়ম অনুসারে, প্লে-অফ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। বোলোনিয়া সেই ম্যাচ জিতে সিরি আ’ শিরোপা জয় করে।
ফুটবল বিশ্বে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে, যেখানে নতুন আসা কোচরা তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন এবং দলগুলোকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান