1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
May 30, 2025 6:17 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
ভ্রমণে আরামের জন্য সেরা ১০টি প্যান্ট: ৩৫ ডলারে শুরু! ভ্রমণে এইসব জিনিস নেওয়া মানেই পয়সা নষ্ট! অভিজ্ঞদের চোখে সেরা মে মাসে পাঠকদের পছন্দের বই: লেখক ও পাঠকের আলোচনা! রায়ান রেনল্ডস: ‘আর’ রেটিং-এর স্টার ওয়ার্স, কেমন হবে সেই জগৎ? মাস্কের ডিওজিই: সাশ্রয়ের বদলে কি বাড়ছে সরকারের দেনা? মেঘে ওড়া: অক্সিজেনের অভাবেও প্রাণে বাঁচলেন চীনা প্যারাগ্লাইডারার! শিশুদের অসুস্থতা: হারিবো-র ক্যান্ডিতে মিলল গাঁজা, আতঙ্ক! ব্রিটিশ আদালতে রুশ ক্যাপ্টেনের জামিন, হতবাক বিশ্ব! আতঙ্ক! ৩০০০ বছরের পুরনো মায়ান কমপ্লেক্স আবিষ্কার, স্তম্ভিত বিশ্ব! বিশ্বকে বাঁচানোর দাবি! কর্মী ছাঁটাই ক্লাইমে works-এর, কারণ ট্রাম্প?

স্ত্রী’র দেখাশোনার দায়িত্বে জয় লেনা, ভালোবাসায় বাঁচেন দু’জনে!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Thursday, April 24, 2025,

বিখ্যাত কমেডিয়ান জ্য লেনো, যিনি একসময় রাতের টেলিভিশন জগতের পরিচিত মুখ ছিলেন, সম্প্রতি তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রী ম্যাভিস ডিমেনশিয়া নামক স্মৃতিভ্রংশ রোগে ভুগছেন।

এই কঠিন সময়ে তিনি কিভাবে স্ত্রীর দেখাশোনা করছেন এবং তাদের দাম্পত্য জীবনকে সুন্দর রেখেছেন, সেই গল্পই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

প্রায় ৪৫ বছর আগে, জ্য লেনো এবং ম্যাভিসের বিয়ে হয়। তাদের ভালোবাসার গভীরতা আজও অটুট।

লেনো এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “বিয়ের সময় আমরা যে প্রতিজ্ঞা করি, তা হলো সুখে-দুঃখে একে অপরের পাশে থাকা। যখন আমার স্ত্রীর এই অবস্থা, তখন আমি তাকে ছেড়ে যাইনি। বরং আমি তার দেখাশোনা করি, তার সব প্রয়োজনে পাশে থাকি।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমি তাকে ভালোবাসি, তার যত্ন নিতে ভালো লাগে। আমি এখন তার জন্য রান্না করি, একসঙ্গে টিভি দেখি, এতেই আমি খুশি।”

ডিমেনশিয়া রোগীদের দেখাশোনার ক্ষেত্রে অনেক ধৈর্য্য ও ত্যাগের প্রয়োজন হয়। জ্য লেনো সেই কাজটিই হাসিমুখে করছেন।

তিনি জানান, ম্যাভিসের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ায় তিনি মাঝে মাঝে ফ্ল্যাশ কার্ড ব্যবহার করেন, যা স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। এই ফ্ল্যাশ কার্ড ব্যবহারের কিছু মজার ঘটনাও তিনি বর্ণনা করেন।

একবার তিনি একটি ছবিতে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে দেখিয়ে ম্যাভিসকে জিজ্ঞেস করেন, “চিনতে পারছো? আমরা ডিনারে গিয়েছিলাম, মনে আছে?” উত্তরে ম্যাভিস বলেছিলেন, “আমি তো নই।”

জ্য লেনো হেসে উত্তর দেন, “হ্যাঁ, হ্যাঁ, তুমিই তো ছিলে।”

গত বছর, জ্য লেনো তার স্ত্রীর সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত হন।

তিনি বলেন, “আমি বুঝতে পারি যে আমার প্রয়োজন আছে, এবং আমি তাকে সাহায্য করতে পেরে আনন্দিত।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, ডিমেনশিয়ার কারণে অনেক সময় মানুষ কাছের মানুষদেরও ভুলে যায়।

তবে তিনি চেষ্টা করেন স্মৃতিগুলো ধরে রাখতে এবং হাসিখুশি পরিবেশে তাদের দিন কাটাতে।

জ্য লেনোর এই আত্মত্যাগ ও ভালোবাসার গল্প অনেকের কাছেই অনুকরণীয়। বিশেষ করে এমন সমাজে যেখানে বয়স্ক এবং অসুস্থ আত্মীয়দের দেখাশোনার গুরুত্ব অপরিসীম, সেখানে জ্য লেনোর এই দৃষ্টান্ত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

তিনি দেখিয়েছেন, ভালোবাসার মাধ্যমে কঠিন পরিস্থিতিও কিভাবে সহজ করে তোলা যায়।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT