লিভারপুলের ম্যানেজার আর্নে স্লট আসন্ন প্রিমিয়ার লীগ জয় উদযাপন কিভাবে করবেন, তা নিয়ে মুখ খুলেছেন। রবিবার টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তিনি জানিয়েছেন, জয় নিশ্চিত হলে তার উচ্ছ্বাস হবে নিয়ন্ত্রিত।
নিজের প্রথম মরসুমে লিভারপুলকে লীগ চ্যাম্পিয়ন করার খুব কাছে দাঁড়িয়ে তিনি।
ফুটবল বিশ্বে, বিশেষ করে বাংলাদেশে, প্রিমিয়ার লীগের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। লিভারপুল যদি টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে ড্র করে বা জেতে, তবে তাদের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাবে।
এই সাফল্যের জন্য ডাচ কোচ স্লট-এর অভিজ্ঞতা রয়েছে, কারণ এর আগে তিনি ফেইনুর্দের হয়ে ২০২৩ সালে এরিডিভিসি খেতাব জিতেছিলেন।
স্লট জানিয়েছেন, “ফেইনুর্দের হয়ে লীগ জেতার সময়ে আমি খুব উপভোগ করেছিলাম, কিন্তু আমি উন্মাদ হইনি। আমি মাঠের চারপাশে তিনবার দৌঁড় দিইনি।
বরং ভেতরের দিক থেকে খুব খুশি হয়েছিলাম এবং আমার চারপাশের মানুষ ও সমর্থকদের সঙ্গে সেই অনুভূতি ভাগ করে নিয়েছিলাম। আমি কখনোই সবার চেয়ে বেশি চিৎকারকারী বা অদ্ভুত ধরনের কেউ নই।”
লিভারপুল বর্তমানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনালের থেকে ১২ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে। হাতে এখনো ৪টি ম্যাচ বাকি থাকতে তাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা স্লটের জন্য একটি অসাধারণ কৃতিত্ব হবে।
উল্লেখ্য, ইয়ুর্গেন ক্লপের উত্তরসূরি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর স্লট দ্রুত মানিয়ে নিয়েছেন এবং দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে।
স্লট আরও বলেন, “এখানে কাজ শুরু করলে, খুব দ্রুতই একটা অনুভূতি তৈরি হয়। আমি এর একটা অংশ।
তবে আমি এখনই নিজেকে ‘স্কাউজার’ বলতে পারি না। এখানকার মানুষজন শুরু থেকেই আপনাকে আপন করে নেয় এবং আপনি তাদের অংশ হয়ে যান।
তবে ১০ মাস পর, যারা এখানে ৩০ বা ৪০ বছর ধরে বসবাস করছেন, তাদের মতো অনুভব করছি বললে, সেটা হয়তো একটু বাড়াবাড়ি হবে। ১০ বছর পর আমাকে জিজ্ঞাসা করুন।
২০২০ সালের জুনে ইয়ুর্গেন ক্লপের অধীনে লিভারপুল যখন শেষবার লীগ জিতেছিল, তখন কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতি ছিল না।
এবার যদি তারা জয়লাভ করে, তবে তা হবে একটি পরিপূর্ণ স্টেডিয়ামের সামনে, যা নিঃসন্দেহে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
স্লট মনে করেন, তার সাফল্যের পেছনে দলের কর্মী এবং চিকিৎসা বিভাগেরও অনেক অবদান রয়েছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান