চেলসি’র সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই।
মহিলাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে চলেছে চেলসি। প্রথম লেগে ১-৪ গোলে হারের পর, দ্বিতীয় লেগে তাদের বিশাল ব্যবধান ঘোঁচাতে হবে।
ফুটবল বিশ্বে এমন প্রত্যাবর্তন খুব একটা দেখা যায় না। পরিসংখ্যান বলছে, বার্সেলোনা প্রথম লেগ জেতার পর দ্বিতীয় লেগে কখনো হারেনি।
এই টুর্নামেন্টে তারা টানা ১৭টি দুই লেগের ম্যাচে জিতেছে।
বার্সেলোনার আধিপত্য এতটাই বেশি যে, তাদের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো চেলসির জন্য একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ।
২০০৯-১০ মৌসুম থেকে, যখন এই টুর্নামেন্টের নাম মহিলা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হয়, তখন কোনো দলই তিন গোলের বেশি ব্যবধান টপকে যেতে পারেনি।
পুরুষদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অবশ্য এমন অনেক উদাহরণ আছে, যেখানে দলগুলো দারুণভাবে ফিরে এসেছে।
যেমন, ২০১৭ সালে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের (পিএসজি) ম্যাচে শেষ মুহূর্তে গোল করে বার্সেলোনার জয় অথবা ২০১৮ সালে রোমার অসাধারণ প্রত্যাবর্তনের ঘটনা।
মহিলাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে, সবচেয়ে বড় ব্যবধান টপকানোর ঘটনা ছিল গ্লাসগো সিটি এবং কাজাখস্তানের বিআইআইকে কাজিগার্টের মধ্যেকার একটি ম্যাচ।
সেই ম্যাচে স্কটিশ ক্লাবটি ৪-১ গোলে জেতার পরও অ্যাওয়ে গোলের কারণে তাদের বিদায় নিতে হয়।
চেলসির জন্য দু:সংবাদ হলো, অ্যাওয়ে গোলের নিয়মও এখন আর নেই।
বার্সেলোনার মহিলা দল সাধারণত এত বড় ব্যবধানে হারে না।
তারা ২০১৯ সালের ফাইনাল ম্যাচে ৪-১ গোলে হেরেছিল লিওঁর কাছে।
সেই ম্যাচে চেলসির বর্তমান খেলোয়াড় লুসি ব্রোঞ্জও ছিলেন।
এবার তিনি চেলসির হয়ে পুরনো দলের বিরুদ্ধে খেলবেন।
বার্সেলোনা টানা পঞ্চমবারের মতো ফাইনালে উঠতে চাইছে।
তারা এর আগে ১০ বারের মধ্যে ৭ বারই ইংলিশ দলগুলির বিরুদ্ধে জিতেছে।
চেলসি সমর্থকদের জন্য একটা সামান্য আশা আছে।
এই মৌসুমে তারা কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির বিরুদ্ধে দুই গোলের ব্যবধান ঘুচিয়ে ৩-২ গোলে জিতেছিল।
তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন।
খেলাটি হবে ২টায়, কারণ উয়েফা (UEFA) মহিলাদের সেমিফাইনালগুলো উইকেন্ডে আয়োজন করতে চাইছে।
চেলসির ঘরের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে প্রায় ২৫,০০০ টিকিট বিক্রি হয়েছে।
যদি চেলসিকে এই ম্যাচে ভালো ফল করতে হয়, তাহলে তাদের খেলায় উন্নতি করতে হবে।
প্রথম লেগে বার্সেলোনার বক্সে তারা মাত্র ১২ বার বল স্পর্শ করতে পেরেছিল এবং তাদের পাসিংয়ের হারও ছিল কম।
লুসি ব্রোঞ্জ তার সতীর্থদের বলেছেন, হাল ছাড়লে চলবে না, লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
তবে বার্সেলোনার এই ফর্মের দিকে তাকালে মনে হয়, তারা ৪-১ ব্যবধান ধরে রাখতে সম্ভবত সফল হবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান