ফুটবল বিশ্বে উদীয়মান এক নক্ষত্র, ডেজিরে ডুয়ে। প্যারিস সেন্ট জার্মেইঁ (পিএসজি)-এর এই তরুণ ফরোয়ার্ড ইতোমধ্যে তাঁর অসাধারণ প্রতিভা এবং খেলার প্রতি নিবেদনের জন্য ফুটবল প্রেমীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। অনেকে তাঁকে নেমার এবং কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে তুলনা করছেন, তবে ডুয়ে নিজের পথে হেঁটে সাফল্যের শিখরে পৌঁছাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
ফরাসি ক্লাব রেনেঁ-এ খেলার সময় থেকেই ডুয়ের প্রতিভার স্ফুরণ ঘটে। তাঁর ক্ষিপ্রতা, বল নিয়ন্ত্রণ এবং গোল করার ক্ষমতা – সবকিছুই ছিল ঈর্ষণীয়। রেনেঁ-এর যুব একাডেমি থেকে উঠে আসা এই ফুটবলারের কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা ছিল চোখে পড়ার মতো।
তরুণ বয়স থেকেই তিনি খেলার প্রতি অত্যন্ত মনোযোগী ছিলেন এবং মাঠের বাইরেও নিজেকে ফিট রাখতে সচেষ্ট ছিলেন।
ডুয়ের প্রতিভা শুধু মাঠের পারফরম্যান্সে সীমাবদ্ধ ছিল না। খেলার প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসা এবং একাগ্রতা তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। রেনেঁ-এর প্রাক্তন কোচ জুলিয়েন স্টেফান ডুয়ের বিষয়ে বলেন, “অন্যান্য খেলোয়াড়দের থেকে ডেজিরে সম্পূর্ণ ভিন্ন। খেলার প্রতি তার একাগ্রতা এবং শীর্ষে পৌঁছানোর যে মানসিকতা, তা আমাকে মুগ্ধ করেছে।”
পিএসজিতে যোগদানের পর ডুয়ের জন্য সবকিছু মসৃণ ছিল না। শুরুতে বিভিন্ন পজিশনে খেলানো হলেও, তিনি দ্রুত মানিয়ে নেন এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন। তাঁর বহুমুখী প্রতিভা কোচ লুইস এনরিকের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।
উইংয়ে খেলার পাশাপাশি মাঝমাঠেও তিনি সমান দক্ষতার সাথে খেলতে পারেন।
বর্তমানে, ডুয়ে পিএসজির আক্রমণভাগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। চলতি মৌসুমে তাঁর ১৩টি গোল এবং ১২টি অ্যাসিস্ট প্রমাণ করে, তিনি কতটা পরিণত এবং দলের জন্য অপরিহার্য। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২-২৩ মৌসুমে তাঁর চেয়ে বেশি গোল অবদান রাখতে পেরেছেন কেবল লামিনে ইয়ামাল।
আর্সেনালের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে মাঠে নামার আগে ডুয়ের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। তবে তাঁর আত্মবিশ্বাস এবং কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা তাঁকে আরও অনেক দূর নিয়ে যাবে, এমনটাই মনে করেন তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
ডেজিরে ডুয়ে নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতের একজন উজ্জ্বল তারকা, যিনি বিশ্ব ফুটবলে নিজের জায়গা করে নিতে প্রস্তুত।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান