শিরোনাম: ইংল্যান্ড নারী রাগবি দলের জয়, বিশ্বকাপ জয়ের পথে শঙ্কা!
ইংল্যান্ডের নারী রাগবি দল, ‘রেড রোজ’ সম্প্রতি ‘সিক্স নেশনস’ খেতাব জয় করেছে। তবে ফ্রান্সের বিপক্ষে সামান্য ব্যবধানে পাওয়া জয় তাদের বিশ্বকাপ জেতার পথে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। খেলার শেষ মুহূর্তে ফ্রান্সের কাছ থেকে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা তাদের দুর্বলতা প্রকাশ করে দিয়েছে।
অভিজ্ঞ খেলোয়াড় এবং বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দলের মানসিক দৃঢ়তা এবং চাপের মুখে নিজেদের সামলানোর ক্ষমতা এখনো প্রশ্নবিদ্ধ।
ইংল্যান্ডের এই জয় নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। টানা সাতবার ‘সিক্স নেশনস’ জেতা প্রমাণ করে দলের অসাধারণ দক্ষতা। পরিসংখ্যানও তাদের পক্ষে কথা বলে, কারণ শেষ ৫৬টি ম্যাচের মধ্যে তারা হেরেছে মাত্র একটিতে।
কিন্তু ফ্রান্সের বিপক্ষে পাওয়া জয় তাদের দুর্বলতাগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে।
খেলা বিশেষজ্ঞদের মতে, দলের আসল সমস্যা প্রতিপক্ষের চেয়ে মানসিক। চাপের মুখে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারাটাই তাদের প্রধান দুর্বলতা। অনেক সময় দেখা যায়, খেলায় ভালো অবস্থানে থেকেও তারা হঠাৎ ছন্দ হারিয়ে ফেলে।
এই প্রসঙ্গে ২০১৬ সালের মাস্টার্স জয়ী গলফার, ররি ম্যাকিলরয়ের কথা মনে আসে। যিনি একসময় দারুণ খেললেও, মানসিক চাপে ভেঙে পড়েন এবং খেলায় পিছিয়ে যান।
২০২২ সালের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের কাছে ইংল্যান্ডের হারের স্মৃতি এখনো টাটকা। সেই ম্যাচেও ইংল্যান্ডকে হতাশ হতে হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে, কোচ জন মিচেলের মূল লক্ষ্য হলো দলের মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্রান্সের বিপক্ষে খেলার দ্বিতীয়ার্ধে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের বল নিয়ন্ত্রণে সমস্যা দেখা গিয়েছিল। ফরাসি খেলোয়াড়দের আক্রমণ সামলাতে তারা বেশ বেগ পায়।
অতীতেও দেখা গেছে, ইংল্যান্ড দল গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে নিজেদের সেরাটা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০০৩ সালের রাগবি বিশ্বকাপে তারা ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামলেও সেমিফাইনালে পরাজিত হয়।
আসন্ন বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড দলের ওপর প্রত্যাশার চাপ অনেক বেশি। শুধু খেতাব জয় নয়, বরং নারী রাগবিকে জনপ্রিয় করা এবং তরুণ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা যোগানোও তাদের দায়িত্ব। এখন দেখার বিষয়, তারা কতটা চাপ সামলে নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান