বরফের হকি খেলোয়াড় অ্যাডাম জনসনের মৃত্যুর ঘটনায় কোনো ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করা হবে না। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খেলোয়াড় ম্যাট পেটগ্রেভের বিরুদ্ধে কোনো মামলা চালানোর মতো যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

অক্টোবর ২০২৩-এ একটি খেলার সময় প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের স্কিটের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে মারা যান নটিংহ্যাম প্যানথার্সের খেলোয়াড় অ্যাডাম জনসন।

ঘটনার পরপরই ম্যাট পেটগ্রেভকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। ঘটনার তদন্ত শেষে, ব্রিটিশ ‘ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস’ (সিপিএস) জানায়, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করার মতো পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ তাদের হাতে নেই।

সিপিএস-এর ডেপুটি চিফ ক্রাউন প্রসিকিউটর মাইকেল কুইন এই প্রসঙ্গে বলেন, “এটি একটি মর্মান্তিক ও দুঃখজনক ঘটনা। ঘটনার তদন্তে সাউথ ইয়র্কশায়ারের পুলিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে সিপিএস। আমরা নিশ্চিত হয়েছি, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি অপরাধের প্রমাণ নেই।”

আদালতে মামলার খরচ জোগাতে পেটগ্রেভ ‘CrowdJustice.com’-এ একটি তহবিল গঠন করেন। জানা গেছে, তিনি ১৮,০০০ পাউন্ডের বেশি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫ লাখ টাকার বেশি) সংগ্রহ করেছেন।

এই অর্থ তিনি নিজের আইনি খরচ মেটাতে এবং অবশিষ্ট অর্থ হকি খেলার সুরক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন উদ্যোগে ব্যয় করবেন বলে জানিয়েছেন।

অ্যাডাম জনসনের মৃত্যুর পর আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন (আইআইএইচএফ) তাদের অধিভুক্ত লিগগুলোতে খেলোয়াড়দের জন্য নেক গার্ড বা গলার সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করেছে।

তবে, এখনো পর্যন্ত ন্যাশনাল হকি লিগে (এনএইচএল) এটি বাধ্যতামূলক করা হয়নি।

অ্যাডাম জনসনের সম্মানে তাঁর দল নটিংহ্যাম প্যানথার্স তাঁর ৪৭ নম্বর জার্সিটি তুলে নেয়।

ক্লাবের ইতিহাসে এই নিয়ে সপ্তম বার কোনো খেলোয়াড়ের জার্সি তুলে নেওয়া হলো।

অ্যাডাম জনসন এর আগে ন্যাশনাল হকি লিগে (এনএইচএল) পিটসবার্গ পেনগুয়েন্সের হয়ে ১৩টি ম্যাচ খেলেছিলেন।

এরপর তিনি কানাডা ও জার্মানিতেও হকি খেলেছেন।

বরফ হকি (Ice hockey) একটি জনপ্রিয় খেলা, যেখানে খেলোয়াড়রা বরফের উপর স্কেট করে এবং স্টিক ব্যবহার করে একটি ছোট রাবার ডিস্ক (puck) গোলে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করে।

এই খেলার নিয়মকানুন সম্পর্কে বাংলাদেশের অনেক দর্শক হয়তো অবগত নন, তাই ঘটনার গুরুত্ব বোঝানোর জন্য বিষয়টির অবতারণা করা হলো।

খেলাধুলার সময় নিরাপত্তা বিষয়ক এমন সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে খেলোয়াড়দের জন্য আরও সুরক্ষা নিয়ে আসবে, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।

তথ্য সূত্র: The Guardian