ইংল্যান্ডের একটি নারী ফুটবল ক্লাবের সহ-মালিকের বিরুদ্ধে খেলোয়াড়দের প্রতি দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার শিকার ক্লাবটির নাম হল সিটি লেডিস।
অভিযোগ উঠেছে, ক্লাবটির সহ-মালিক ড্যানিয়েল জনসন খেলোয়াড়দের সঙ্গে আগ্রাসী আচরণ করতেন এবং তাদের ভীতি প্রদর্শন করতেন। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করারও অভিযোগ উঠেছে।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এপ্রিলের শুরুতে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে (এফএ) পাঠানো কিছু লিখিত অভিযোগে জনসনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগগুলো করেছেন বর্তমান ও প্রাক্তন খেলোয়াড়, ক্লাবের কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক এবং পৃষ্ঠপোষকরা।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, জনসন খেলোয়াড়দের সঙ্গে একাধিকবার মৌখিকভাবে দুর্ব্যবহার করেছেন। তাঁর এই আচরণের কারণে ক্লাবের পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে উঠেছিল, যেখানে নারী খেলোয়াড়রা নিজেদের অনিরাপদ মনে করতেন। এমনকি রেগে গিয়ে তিনি খেলোয়াড়দের দিকে ফুটবল ছুড়ে মারতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, জনসন একবার প্রকাশ্যে দলের একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছিলেন। এর প্রতিক্রিয়ায় কয়েকজন খেলোয়াড় জনসনের অধীনে খেলতে রাজি নন বলে ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অন্যদিকে, জনসন যদি ক্লাবে থাকেন, তাহলে বেশ কয়েকজন পৃষ্ঠপোষক তাদের অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং কিভাবে এই অভিযোগগুলোর সমাধান করা যায়, সে বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছে।
তবে, ক্লাব সূত্র জানিয়েছে, এফএর কাছ থেকে তারা এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো সহযোগিতা পায়নি। খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে জনসনকে বরখাস্ত করার দাবি উঠলেও, এফএ এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এদিকে, জনসন ক্লাব থেকে দলটিকে অবনমন করার জন্য এফএর কাছে আবেদন করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ক্লাবের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পরেই তিনি এই আবেদন করেন।
তবে, এফএ এই আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে। কারণ, তারা মনে করে, কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে স্বেচ্ছায় অবনমনের আবেদন জানানোর সুযোগ নেই।
এই ঘটনার জেরে স্থানীয় এমপি এমা হার্ডি এফএর সঙ্গে জরুরি বৈঠকের আবেদন করেছেন। শেষ খবর অনুযায়ী, গত সপ্তাহে ক্লাবে একটি বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য ভোট হয়।
জনসন সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন না, তবে তিনি এখনো ক্লাবের পরিচালক পদে বহাল আছেন।
উল্লেখ্য, হাল সিটি লেডিস, পুরুষদের হাল সিটি দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। জনসন হাল সিটি লেডিস-এর মূল কোম্পানির ৫০ শতাংশ শেয়ারের মালিক।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান