অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায়, একটি পারিবারিক ভোজের পরে বিষাক্ত মাশরুম খেয়ে কয়েকজনের মৃত্যুর অভিযোগে এরিন প্যাটারসন নামে এক নারীর বিচার শুরু হয়েছে।
২০২৩ সালের জুলাই মাসে লিওংগাথা শহরে আয়োজিত ওই ভোজসভায় পরিবেশিত বিফ ওয়েলিংটন-এ মারাত্মক ‘ডেথ ক্যাপ’ মাশরুম মেশানো ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মৃতের তালিকায় রয়েছেন এরিনের প্রাক্তন স্বামীর বাবা-মা এবং তার স্বামীর এক আত্মীয়া।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, এরিন প্যাটারসন তার প্রাক্তন স্বামী, সাইমন প্যাটারসনের বাবা-মা, ডন ও গেইল প্যাটারসন এবং গেইলের বোন ও সাইমনের মাসি, হিদার উইলকিনসনকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই ভোজের আয়োজন করেন।
ভোজসভায় উপস্থিত থাকা হিদার উইলকিনসনের স্বামী, ইয়ান উইলকিনসনও গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে কয়েক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন ছিলেন। সৌভাগ্যবশত তিনি প্রাণে বেঁচে যান।
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা হলেন: এরিন প্যাটারসন, যিনি বর্তমানে অভিযুক্ত এবং বিচারের মুখোমুখি। সাইমন প্যাটারসন, এরিনের প্রাক্তন স্বামী।
ডন ও গেইল প্যাটারসন, সাইমনের বাবা-মা, যারা এই বিষক্রিয়ায় মারা যান। হিদার উইলকিনসন, গেইলের বোন এবং সাইমনের মাসি, তিনিও মারা যান।
ইয়ান উইলকিনসন, হিদার উইলকিনসনের স্বামী, যিনি কোনোমতে প্রাণে বেঁচে যান।
আদালতে শুনানিতে জানা গেছে, এরিন প্যাটারসন তার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে ‘স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কিছু বিষয়’ নিয়ে আলোচনা করতে এবং তাদের কাছে তার ও সাইমনের দুই সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে এই ভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
এরিন আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। বর্তমানে মোরওয়েলে এই বিচার প্রক্রিয়া চলছে, যা প্রায় ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সাইমন এবং এরিনের মধ্যে ২০১৫ সালে বিচ্ছেদ হলেও, ২০২২ সাল পর্যন্ত তাদের সম্পর্ক ভালো ছিল।
সাইমন তাদের সম্পর্ক জোড়া লাগানোর ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন। ভুক্তভোগী ডন ও গেইল প্যাটারসন কোরাম্বুরায় বসবাস করতেন।
তারা দুজনেই শিক্ষকতা করতেন। অন্যদিকে, হিদার উইলকিনসনও ছিলেন একজন শিক্ষক। ইয়ান উইলকিনসন কোরাম্বুরা ব্যাপটিস্ট চার্চের যাজক ছিলেন।
এই মামলার রায় কী হয়, সেদিকে এখন সকলের দৃষ্টি।
তথ্য সূত্র: বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।