বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলানের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৬ গোল, খেলার ফল ৩-৩! চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উত্তেজনায় ঠাসা এক রাতে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। খেলা শুরুর ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই পিছিয়ে পরে বার্সেলোনা, কিন্তু তারা দারুণভাবে ফিরে আসে।
একদিকে যেমন ছিল ইন্টার মিলানের আক্রমণাত্মক ফুটবল, তেমনই ছিল বার্সেলোনার লড়াকু মানসিকতা।
ম্যাচের শুরুতেই যেন গোল উৎসবের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। খেলার প্রথম মিনিটেই ইন্টার মিলানের হয়ে গোল করেন মার্কাস থুরাম। এরপর ডেনজেল ডামফ্রাইসের দর্শনীয় ভলিতে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ইন্টার।
খেলার প্রথমার্ধে বার্সেলোনার রক্ষণ দুর্বল দেখালেও, তরুণ তারকা লামিনে ইয়ামালের অসাধারণ নৈপুণ্যে ম্যাচে ফেরে তারা। ইয়ামাল একাই যেন বার্সেলোনার আক্রমণের ধার বাড়িয়ে তোলেন। তার পাস থেকেই দলের প্রথম গোলটি আসে।
দ্বিতীয়র্ধে খেলার গতি আরও বাড়ে। ডামফ্রাইস আবারও গোল করে ইন্টারকে এগিয়ে নিলেও, বার্সেলোনা হাল ছাড়েনি। রাফিনহার গোলে স্কোরলাইন ৩-৩ হয়।
খেলার শেষ পর্যন্ত দুই দলই জয়ের জন্য চেষ্টা চালিয়েছে, কিন্তু জয় অধরাই থেকে যায়।
এই ম্যাচে বার্সেলোনার হয়ে লামিনে ইয়ামাল, এবং ইন্টার মিলানের ডেনজেল ডামফ্রাইস ছিলেন অসাধারণ। ইয়ামালের গতি এবং বল দখলের ক্ষমতা মুগ্ধ করার মতো ছিল।
অন্যদিকে, ডামফ্রাইস তার আক্রমণাত্মক খেলার মাধ্যমে প্রতিপক্ষের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছিলেন।
ম্যাচে বার্সেলোনার রক্ষণ দুর্বলতা ছিল স্পষ্ট। ইন্টার মিলান সুযোগ পেলেই তাদের দুর্বলতার সুযোগ নিতে চেয়েছিল।
খেলার ফল হয়তো উভয় দলের জন্যই হতাশার কারণ হতে পারে, কারণ তারা জয়ের খুব কাছাকাছি ছিল। তবে, এই ড্র তাদের পরবর্তী রাউন্ডের জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে।
এই ম্যাচটি ছিল ফুটবলপ্রেমীদের জন্য অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা। খেলোয়াড়দের দক্ষতা, কৌশল এবং লড়াইয়ের মানসিকতা সত্যিই উপভোগ করার মতো ছিল।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান