ক্রিস ইউব্যাঙ্ক জুনিয়র: বেনকে হারানোর পর চোখের অস্ত্রোপচার, জানালেন নিজেই।
ব্রিটিশ বক্সিংয়ের অন্যতম পরিচিত মুখ ক্রিস ইউব্যাঙ্ক জুনিয়র সম্প্রতি তার প্রতিদ্বন্দ্বী কনর বেনকে হারানোর পর চোখের অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। শনিবার টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার পর তিনি হাসপাতালে ছিলেন দু’রাত।
ইউব্যাঙ্ক জুনিয়রের প্রচারকারী বেন শালম অবশ্য জানিয়েছেন, ইউব্যাঙ্ক জুনিয়রের চোয়ালে কোনো গুরুতর আঘাত লাগেনি। তবে, সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, চোখের ক্ষতি সারানোর জন্য অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে তাঁকে।
“১২ রাউন্ডের একটা কঠিন লড়াইয়ের পরে কিছু আঘাত তো লাগেই,” এমনটাই জানান ইউব্যাঙ্ক জুনিয়র। তিনি আরও বলেন, “লড়াইয়ের মাঝামাঝি সময়ে আমার চোখের উপরে মাথা দিয়ে আঘাত করা হয়। এর ফলে সেখানে কেটে যায় এবং সেলাই করার জন্য অস্ত্রোপচার করতে হয়।”
এদিকে, কনর বেন এবং তার প্রচারকারী, এডি হার্ন, প্রথমে খবর ছড়িয়েছিলেন যে ইউব্যাঙ্ক জুনিয়রের চোয়াল ভেঙে গেছে। তবে, ইউব্যাঙ্ক জুনিয়র জোর দিয়ে বলেন, “আমার চোয়াল ভাঙেনি। আমরা শক্তিশালী। আমাদের হাড় বেশ শক্ত।”
ভবিষ্যতে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে কী করবেন, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি ইউব্যাঙ্ক জুনিয়র।
তবে, কনর বেনের সঙ্গে একটি সম্ভাব্য রি-ম্যাচ অথবা মেক্সিকোর তারকা বক্সার, ক্যানেলো আলভারেজের সঙ্গে লড়াইয়ের সম্ভাবনা এখনো রয়েছে।
বেনের সঙ্গে রি-ম্যাচের সম্ভাবনা নিয়ে ইউব্যাঙ্ক জুনিয়র বলেন, “বক্সিং এমন একটি সুন্দর জগৎ, যেখানে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে। সম্ভাবনা অফুরন্ত। যদি রি-ম্যাচ হওয়ার থাকে, তবে হবে। যদি না হয়, তবেও অনেক দারুণ লড়াই এবং এই খেলাটিতে আমার অনেক কিছু অর্জনের আছে।”
অন্যদিকে, ক্যানেলোর সঙ্গে লড়াইয়ের সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন, “নিশ্চিতভাবেই এমন একটা লড়াই স্টেডিয়াম ভরিয়ে দেবে। ওয়েম্বলি, টটেনহ্যাম বা যুক্তরাজ্যের অন্য কোনো বড় ফুটবল স্টেডিয়ামে এই লড়াই হলে দর্শকাসন কানায় কানায় পূর্ণ হবে। আমি অনেক বছর ধরেই এমন একজন প্রতিপক্ষের দিকে তাকিয়ে আছি। ভক্তরা এটা দেখতে ভালোবাসবে এবং আমরা ভবিষ্যতে সেই লড়াই নিশ্চিত করতে যা যা করা দরকার, তাই করব।”
উল্লেখ্য, বেনকে হারানোর আগে ইউব্যাঙ্ক জুনিয়রকে তার বাবা, ক্রিস ইউব্যাঙ্ক সিনিয়রের সঙ্গে দেখা যায়। বাবা-ছেলের মধ্যে বেশ কয়েক বছর ধরে সম্পর্ক ভালো ছিল না। তবে, এই লড়াইয়ের আগে বাবার উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। ইউব্যাঙ্ক সিনিয়র নিজেও একসময় নাইজেল বেন-এর সঙ্গে লড়েছিলেন, যিনি ছিলেন কনর বেনের বাবা।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান