গরমের ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? তাহলে এবারের গন্তব্য হোক বিভিন্ন দেশের জনপ্রিয় খাদ্যকেন্দ্রগুলো।
সম্প্রতি, বিশ্বের ভ্রমণ বিষয়ক একটি ওয়েবসাইট তাদের আগামী গ্রীষ্মের ভ্রমণ প্রবণতা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
যেখানে তারা খাদ্যরসিকদের জন্য পছন্দের স্থানগুলোর একটি তালিকা দিয়েছে।
স্থানীয় খাবারের স্বাদ উপভোগ করতে এইসব জায়গাগুলোতে ভিড় করেন পর্যটকেরা।
### খাদ্যপ্রেমীদের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ভ্রমণকারীরা স্থানীয় সংস্কৃতি ও অভিজ্ঞতার প্রতি বেশি আগ্রহী হচ্ছেন।
অনেকেই এখন নামকরা পর্যটন কেন্দ্রগুলো এড়িয়ে অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত, কিন্তু স্থানীয় স্বাদের জন্য বিখ্যাত জায়গাগুলোতে ঘুরতে যাচ্ছেন।
এই তালিকায় ইতালির আলাসিও’র নাম রয়েছে।
এখানকার তাজা সি-ফুড, স্থানীয় ফুল ও ভেষজ এবং অলিভ অয়েলের জন্য জায়গাটি সুপরিচিত।
নেদারল্যান্ডসের রটারডাম-ও কম যায় না, যেখানে রয়েছে বিভিন্ন দেশের খাবারের এক দারুণ মিশ্রণ।
স্পেনের চিকলানা দে লা ফ্রনটেরা-র সমুদ্রসৈকতে সেরা সি-ফুড উপভোগ করতে পারবেন ভোজন রসিকরা।
তালিকায় আরও আছে ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তে।
এখানকার ঐতিহ্যবাহী মিনাস গেরাইস-এর খাবার খুব বিখ্যাত।
ভারতের শিলং-এর স্থানীয় ও খাসি খাবারও পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার মারলোথ পার্ক-এ আঙুর চাষ হয়, যা এই স্থানটিকে খাদ্যরসিকদের জন্য বিশেষ করে তোলে।
জাপানের আরাকাওয়া শহরে রয়েছে আকর্ষণীয় রামেন ও গিওজা।
থাইল্যান্ডের রাওয়াই-এ তাজা সি-ফুড ও স্থানীয় উপকরণ দিয়ে তৈরি খাবার পাওয়া যায়।
আর্জেন্টিনার সান্তা তেরেসিতা-তে ইতালীয়, স্পেনীয় এবং অন্যান্য ইউরোপীয় সংস্কৃতির খাবারের স্বাদ নিতে পারবেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ওনিয়নটা-ও খাদ্যপ্রেমীদের জন্য একটি দারুণ গন্তব্য হতে পারে।
এখানে বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় রেস্টুরেন্ট এবং খামার থেকে সরাসরি আসা উপকরণ দিয়ে তৈরি খাবারের স্বাদ নেওয়া যায়।
এই স্থানগুলো ছাড়াও, আরো অনেক জায়গা আছে যা খাদ্যরসিকদের জন্য আকর্ষণীয় হতে পারে।
তথ্য সূত্র: ট্র্যাভেল অ্যান্ড লেজার