সংস্কার পার্টি-র অভাবনীয় জয়, যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে চাঞ্চল্য।
যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্ম দিয়ে, সংস্কার পার্টি (Reform UK) রানকর্ন এবং হেলসবি উপনির্বাচনে মাত্র ছয় ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। লেবার পার্টির প্রার্থীকে পরাজিত করে এই জয় ছিনিয়ে আনে তারা।
এই ফলাফল লেবার পার্টির জন্য একটি বড় ধাক্কা, যা দলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
নির্বাচনে সংস্কার পার্টির প্রার্থী সারা পচিন ৩৮.৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিল ১২,৬৪৫।
অন্যদিকে, লেবার পার্টির প্রার্থী অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটি সবচেয়ে কম ভোটের ব্যবধানে হওয়া জয়গুলোর মধ্যে অন্যতম।
এই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার মূল কারণ ছিল লেবার পার্টির এমপি মাইক অ্যামেসবারির পদত্যাগ। তিনি পূর্বে একজন ভোটারের ওপর শারীরিক আক্রমণের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন।
নির্বাচনে সংস্কার পার্টি অভিবাসন এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিকে প্রধান ইস্যু হিসেবে তুলে ধরেছিল। এছাড়া, লেবার পার্টির শীতকালীন জ্বালানি বিলের ভর্তুকি কমানোর সিদ্ধান্তও ভোটারদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে।
সংস্কার পার্টির নেতা নাইজেল ফারেজ এই জয়কে দলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা এখন বিরোধী দল।”
তাঁর মতে, ভোটাররা যদি রক্ষণশীলদের সমর্থন করে, তাহলে তারা কেবল লেবার সরকারের অধীনেই থাকবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ফলাফল আগামী নির্বাচনে লেবার পার্টির জন্য একটি অশনি সংকেত। কারণ, সংস্কার পার্টি জনগণের মধ্যে তাদের সমর্থন আরও বাড়াতে পারে।
যদিও লেবার পার্টি খুব সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরেছে, তবে নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির ভোট কমে যাওয়াটা একটি বড় উদ্বেগের বিষয়।
নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৪৬.৩৩ শতাংশ, যা অনেকের মতে ‘ফারেজ ফ্যাক্টর’-এর কারণে হয়েছে। অর্থাৎ, সংস্কার পার্টির নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে ভোটারদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল।
যুক্তরাজ্যের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়।