মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের একটি গির্জায় অভিবাসী সম্প্রদায়ের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিনামূল্যে আকুপাংচার, রেইকি এবং কাপিং থেরাপির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেন্ট পল-সান পাবলো লুথেরান চার্চে নিয়মিত প্রার্থনার পাশাপাশি এখন প্রতি মাসে এই সেশনগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মূলত অভিবাসন সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে মানসিক অবসাদে ভোগা মানুষের পাশে দাঁড়াতেই এই উদ্যোগ।
যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপলিসের এই গির্জাটি একসময় সুইডিশ অভিবাসীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমানে এখানে লাতিন আমেরিকান সম্প্রদায়ের মানুষের আনাগোনা বেশি।
অভিবাসন আইন কঠোর হওয়ায় অভিবাসীদের মধ্যে মানসিক চাপ বাড়ছে, সেই বিষয়টি উপলব্ধি করে গির্জার পক্ষ থেকে এই বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জানা গেছে আকুপাংচার (শরীরের নির্দিষ্ট স্থানে সূঁচ ফোটানো), রেইকি (হাতের মাধ্যমে শরীরের শক্তি কেন্দ্রে স্পর্শ করা) এবং কাপিং থেরাপির (কাপের সাহায্যে ত্বকের উপর চাপ সৃষ্টি করা) মাধ্যমে অভিবাসীদের মানসিক শান্তির চেষ্টা করা হচ্ছে।
আয়োজকদের মতে, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মানুষ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। গির্জার এই উদ্যোগে অভিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্যরা শারীরিক ও মানসিক স্বস্তি পাচ্ছেন।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া অনেকে জানিয়েছেন, এই ধরনের থেরাপি তাদের মনকে শান্ত করতে সাহায্য করছে।
এখানে আসা একজন ইকুয়েডরীয় নির্মাণ শ্রমিক জুয়ান কার্লোস টোয়াপান্তা জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে কোমরের ব্যথায় ভুগছিলেন।
আকুপাংচার নেওয়ার পর এখন তিনি অনেক ভালো অনুভব করছেন। এই চিকিৎসা তার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও সাহায্য করেছে।
এছাড়া, মেক্সিকান অভিবাসী মারtha ডোমিংগেজ জানান, গির্জায় এমন সুবিধা পাওয়াটা তার কাছে কল্পনার অতীত ছিল এবং এটি তার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিবাসীরা প্রায়ই তাদের জন্মভূমি থেকে সহিংসতা ও বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়ে আসেন।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে আসার পথেও তাদের অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
তাই তাদের জন্য এমন একটি নিরাপদ আশ্রয় তৈরি করা প্রয়োজন, যেখানে তারা মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্ব দিতে পারে।
এই কর্মসূচি অভিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর আশা জাগিয়েছে। কারণ, অনিশ্চয়তা এবং ভয়ের মধ্যে থেকেও তারা বুঝতে পারছেন, তাদের পাশে কেউ আছে।
তথ্যসূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস।