টটেনহ্যাম হটস্পারের ডাগআউটে এখন নতুন চ্যালেঞ্জ, আর তা হলো দলের খেলোয়াড়দের মানসিকতা পরিবর্তন করা। ক্লাবটির ম্যানেজার অ্যাঞ্জ পোস্টেকোগলু মনে করেন, দল দীর্ঘদিন ধরে কোনো শিরোপা জিততে না পারার কারণে সমর্থকদের মধ্যে একটা হতাশা কাজ করে।
সেই হতাশা কাটিয়ে উঠতে হলে মাঠের খেলায় ভালো ফল করা জরুরি। ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে নরওয়ের ক্লাব বোডো/গ্লিমটের বিপক্ষে খেলার সময় গ্যালারিতে সমর্থকদের মধ্যে কিছুটা অস্থিরতা দেখা যায়।
খেলা শেষের দিকে স্কোর ৩-১ হওয়ার পর যেন সবার মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়। এর আগে অবশ্য পরিবেশটা বেশ ভালো ছিল, খেলোয়াড়রাও ভালো খেলছিল।
কিন্তু স্কোর সামান্য এদিক-ওদিক হতেই যেন সমর্থকরা খারাপ কিছু ঘটার আশঙ্কা করতে শুরু করে। পোস্টেকোগলু উল্লেখ করেছেন, এর আগে এজেড (AZ) এবং আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের (Eintracht Frankfurt) বিপক্ষে খেলার সময়ও একই ধরনের উদ্বেগ দেখা গিয়েছিল।
খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সেও এর প্রভাব পড়ে। ম্যানেজারের মতে, এই মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জয়। দল হিসেবে ভালো ফল করাই পারে এই নেতিবাচক ধারাকে বদলে দিতে।
তিনি আরও বলেন, ক্লাবের বাইরে যারা আছেন, তাদের এই বিষয়ে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে দলের ভেতরের পরিবেশটা ইতিবাচক রাখতে চেষ্টা করছেন তিনি।
কারণ, খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের ওপর এর একটা বড় প্রভাব পড়ে। এদিকে, দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ইনজুরি চিন্তায় ফেলেছে কোচকে।
বোডো/গ্লিমটের বিপক্ষে খেলার আগে অনুশীলনে পাওয়া অ্যাঙ্কেল ইনজুরির কারণে পুরো মৌসুমের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেছেন লুকাস বের্গভল। এছাড়া, ডমিনিক সোলানকে এবং জেমস ম্যাডিসনও (James Maddison) ওই ম্যাচে আহত হন।
সোলানকের ইনজুরি খুব গুরুতর না হলেও, ম্যাডিসনের হাঁটুতে পাওয়া আঘাত নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তা রয়েছে। টটেনহ্যাম হটস্পার দীর্ঘদিন ধরে কোনো বড় ট্রফি জিততে পারেনি।
দলের ভেতরের খেলোয়াড় এবং বাইরের সমর্থকদের মধ্যে তাই একটা হতাশা কাজ করে। এখন দেখার বিষয়, নতুন কোচ কিভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন এবং দলকে সাফল্যের পথে ফেরান।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান