১১ বছর বয়সী কালিয়াহ কোয়া নামের এক কিশোরীর মর্মান্তিক মৃত্যুরহস্যের কিনারা করতে শুরু হয়েছে তদন্ত। গত মার্চ মাসে নিখোঁজ হওয়ার পর, এপ্রিল মাসে টেমস নদীতে তার মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়।
সম্প্রতি এক শুনানিতে জানা গেছে, কালিয়াহর মৃত্যুর কারণ সম্ভবত পানিতে ডুবে যাওয়া নয়, বরং ঠান্ডা পানিতে নিমজ্জিত হওয়ার ফলে সৃষ্ট শারীরিক দুর্বলতা।
লন্ডনের ইস্ট লন্ডন করোনার্স কোর্টে ২রা মে তারিখে এই মামলার শুনানি হয়। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনার গ্রেমে আইরভিন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কালিয়াহ সম্ভবত নদীতে পড়ে যাওয়া নিজের একটি জুতো তোলার চেষ্টা করছিল।
সেই সময় নদীর শীতল জল তার শরীরের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে এবং দ্রুতই তার মৃত্যু হয়।
শুনানিতে জানানো হয়, ঠান্ডা জলের কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে অচেতন হয়ে পড়েছিল কালিয়াহ, যা তার মৃত্যুর কারণ হয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টেও ডুবে যাওয়ার কোনো প্রমাণ মেলেনি।
যেহেতু কালিয়াহর মৃত্যু স্বাভাবিক কারণে হয়নি, তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য একটি শুনানির প্রয়োজন ছিল। এই মুহূর্তে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘ঠান্ডা জলে নিমজ্জন’কে চিহ্নিত করা হয়েছে, তবে চূড়ান্ত কারণ জানতে আরও কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন।
কালিয়াহ কোয়ার পরিবার এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে। তারা এক বিবৃতিতে জানায়, “আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে। আমাদের জীবন আর আগের মতো থাকবে না।
কালিয়াহকে আমরা অল্প সময়ের জন্য পেলেও, সে আমাদের জীবনে অনেক আনন্দ এনেছিল। তাকে খুব মিস করব।”
পরিবারটি এই দুঃসময়ে তাদের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ডিটেকটিভ সুপারিনটেনডেন্ট স্কট ওয়্যার এই বিষয়ে শোক প্রকাশ করে বলেন, “এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমরা একটি মেয়েকে হারালাম, যাকে সবাই ভালোবাসত।
কালিয়াহর পরিবারকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব।
তিনি আরও বলেন, “আমি পরিবারের এই কঠিন সময়ে তাদের গোপনীয়তা রক্ষার আবেদনকে সমর্থন করি। সেই সঙ্গে অনলাইনে বা অন্য কোনো মাধ্যমে এই বিষয়ে কোনো ধরনের অনুমান বা গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
তথ্য সূত্র: পিপলস