মায়ের দেওয়া এক উপহার, যা ছুঁয়ে গেল মেয়ের হৃদয়
ছেলেবেলা স্মৃতিবিজড়িত কিছু জিনিস আমাদের জীবনে বিশেষ স্থান অধিকার করে থাকে। তেমনই, যুক্তরাষ্ট্রের এক তরুণীর জন্য, তার শৈশবের ‘আমেরিকান গার্ল ডল’গুলো (American Girl dolls) নিছক খেলনা নয়, বরং তা এক গভীর ভালোবাসার প্রতীক।
এই পুতুলগুলো তার অতীতের সঙ্গে, পরিবারের সঙ্গে এবং নিজের পরিচয়ের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে।
মায়ের ভালোবাসার ছোঁয়া
২৩ বছর বয়সী মরগান স্টিলফেন (Morgan Stilphen) নামের ওই তরুণীর মা, মেয়ের প্রিয় পুতুলগুলো সারিয়ে তুলেছিলেন। বিষয়টি মরগানকে এতটাই আপ্লুত করেছে যে, তিনি টিকটকে (TikTok) একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন।
যেখানে তিনি তার মায়ের এই ভালোবাসাপূর্ণ কাজের কথা উল্লেখ করেছেন।
ছোটবেলার স্মৃতি
মরগান জানান, তার ‘আমেরিকান গার্ল ডল’গুলো ছিল তার শৈশবের খেলার সাথী। কিট, রুথি, এবং রেবেকা নামের এই পুতুলগুলো তার জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল।
পুতুলগুলোর সাজপোশাক গুছিয়ে রাখা থেকে শুরু করে তাদের সঙ্গে স্কুলের খেলার মতো নানান স্মৃতি আজও তার মনে গেঁথে আছে।
ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখার স্বপ্ন
ছোটবেলায় পাওয়া এই পুতুলগুলো সারিয়ে তোলার কারণ জানতে চাইলে মরগান বলেন, “আমি সবসময় চেয়েছি আমার এই পুতুলগুলো আমার সন্তানদের হাতে তুলে দিতে।
তারা যেন তাদের নিজেদের মতো করে এই পুতুলগুলোর সঙ্গে তাদের শৈশবটা উপভোগ করতে পারে।” মায়ের এই উপহার যেন সেই স্বপ্নকে আরও একধাপ এগিয়ে দিয়েছে।
পরিবারের বন্ধন
মরগানের মা সব সময়ই তার মেয়ের প্রতি যত্নশীল ছিলেন। সিঙ্গেল মাদার হিসেবে তিনি সবসময় চেষ্টা করেছেন মেয়ের সব প্রয়োজন মেটাতে।
মেয়ের ভালো ভবিষ্যতের জন্য তিনি সবসময়ই ছিলেন অবিচল। মায়ের এই ভালোবাসাই যেন পুতুলগুলো সারিয়ে তোলার মাধ্যমে আরও একবার প্রকাশ পেয়েছে।
মা ও মেয়ের এই দৃঢ় বন্ধন, প্রতিটি মানুষের কাছে অনুকরণীয়।
অন্যান্য সংস্কৃতি
রেবেকা নামের পুতুলটির গল্প মরগানকে বিশেষভাবে আকর্ষণ করত। কারণ, রেবেকা ছিল একজন ইহুদি বালিকা।
শৈশবে, মরগান যখন খ্রিস্টান সমাজে বড় হচ্ছিলেন, তখন রেবেকার গল্প তাকে এক ভিন্ন ধরনের অনুভূতি এনে দিত।
উপসংহার
মা-মেয়ের ভালোবাসার এই গল্প, আমাদের সবার জন্য শিক্ষণীয়। শৈশবের স্মৃতিগুলো ধরে রাখা, পরিবারের প্রতি ভালোবাসা এবং ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার গুরুত্ব এই গল্পের মূল বিষয়।
তথ্য সূত্র: পিপল