মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কপিরাইট অফিসের প্রধানকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প প্রশাসন। কয়েক দিন আগেই লাইব্রেরি অফ কংগ্রেসের প্রধানকেও অপসারণ করা হয়েছিল। রবিবার এক বিবৃতিতে এই খবর জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কপিরাইট অফিসের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শীরা পার্লমুটারকে হোয়াইট হাউস থেকে একটি ইমেইল মারফত তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইমেইলে জানানো হয়, অবিলম্বে তার এই পদ বাতিল করা হলো।
গত বৃহস্পতিবার দেশটির লাইব্রেরি অফ কংগ্রেসের প্রধান কার্লা হেডেনকে বরখাস্ত করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হেডেন ছিলেন এই পদে আসীন প্রথম নারী এবং প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান। অনেকের মতে, সরকারের নীতিমালার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করার কারণেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
শীরা পার্লমুটার ২০২০ সালের অক্টোবরে কপিরাইট অফিসের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান। তার অফিসের তত্ত্বাবধানে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) কোম্পানিগুলো কীভাবে কপিরাইটযুক্ত উপাদান ব্যবহার করে তাদের এআই সিস্টেম তৈরি করতে পারে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত দীর্ঘ আলোচনার তৃতীয় অংশে মানুষের সৃজনশীলতাকে কপিরাইট সুরক্ষার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে তুলে ধরা হয়।
জানুয়ারিতে, অফিস তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিষ্কার করে জানিয়েছিল যে, কপিরাইট সুরক্ষার ক্ষেত্রে মানুষের সৃজনশীলতাই প্রধান। বছরে প্রায় পাঁচ লক্ষ কপিরাইট আবেদন জমা পড়ে, যা লক্ষ লক্ষ সৃজনশীল কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত। পার্লমুটার সেসময় বলেছিলেন, “যদি কোনো মেশিনের মাধ্যমে কোনো কাজের স্বত্ব নির্ধারিত হয়, তবে তা কপিরাইটের সাংবিধানিক উদ্দেশ্যকে আরও দুর্বল করে দেবে।
হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ডেমোক্র্যাটরা বলেছেন, শীরা পার্লমুটারকে বরখাস্ত করা একটি “ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার”। নিউ ইয়র্কের কংগ্রেসম্যান জো মোরেল, যিনি হাউস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট, এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
শীরা পার্লমুটার এর আগে পেটেন্ট ও ট্রেডমার্ক অফিসে নীতি পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন এবং কপিরাইটসহ বিভিন্ন বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি (ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি) সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করেছেন। তিনি নব্বইয়ের দশকে কপিরাইট অফিসেও কাজ করেছেন। রবিবার পর্যন্ত তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস