যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ: সন্ত্রাসবাদের আশঙ্কায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা জারি
যুক্তরাজ্যে ভ্রমণরত মার্কিন নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর ভ্রমণকারীদেরকে ‘অধিক সতর্কতা অবলম্বন’ করতে বলেছে। সম্প্রতি এক পর্যালোচনার পর, গত ৮ই মে এই সতর্কতা পুনরায় জারি করা হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ভ্রমণ সতর্কতাকে চারটি স্তরে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে প্রথম স্তরে সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়, যেখানে চতুর্থ স্তরে ভ্রমণের ব্যাপারে ‘অনুমতি নেই’ জানানো হয়। যুক্তরাজ্য বর্তমানে দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে, যার অর্থ হলো ভ্রমণকালে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
যুক্তরাজ্যে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার হুমকির কারণে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, “সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো যুক্তরাজ্যে হামলার পরিকল্পনা অব্যাহত রেখেছে।” এছাড়াও, উত্তর আয়ারল্যান্ডে ভিন্নমতাবলম্বী গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংসতার ঝুঁকি রয়েছে, যাদের প্রধান লক্ষ্য পুলিশ ও সামরিক স্থাপনা।
২০২৩ সালের সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যে দুটি সন্ত্রাসী হামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি উত্তর আয়ারল্যান্ডে সংঘটিত হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, “উত্তর আয়ারল্যান্ডের জন্য আলাদাভাবে নির্ধারিত হুমকির মাত্রা ‘গুরুতর’ থেকে ‘মারাত্মক’-এ উন্নীত করা হয়েছে, যা ইঙ্গিত করে যে সন্ত্রাসী হামলা ‘সম্ভাব্য’ থেকে ‘খুব সম্ভবত’-এর পর্যায়ে রয়েছে।” তবে, ১৯৬৯ সাল থেকে রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর, ২০২৩ সালে উত্তর আয়ারল্যান্ডে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো মৃত্যু রেকর্ড করা হয়নি।
এই সতর্কতা নতুন কিছু নয় এবং এর অর্থ এই নয় যে, মার্কিন ভ্রমণকারীরা যুক্তরাজ্য এড়িয়ে চলবেন বা সেখানে ভ্রমণ করা নিরাপদ নয়। বরং, এর মাধ্যমে ভ্রমণকারীদের জনসমাগম ও পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উত্তর আয়ারল্যান্ডে ভ্রমণকারীদের বিশেষভাবে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে।
মার্কিন ভ্রমণ বিষয়ক পরামর্শে, ভ্রমণকারীদের স্মার্ট ট্রাভেলার এনরোলমেন্ট প্রোগ্রাম (Smart Traveler Enrollment Program – STEP)-এ নাম লেখানোর এবং জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও, যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের আগে মার্কিন নাগরিকদের ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (Electronic Travel Authorization – ETA) নেওয়ার বিষয়টি মনে রাখতে হবে। এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের জন্য যুক্তরাজ্যের সরকারি ওয়েবসাইটে (gov.uk) ভিজিট করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: ভ্রমণ ও বিনোদন