যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের একজন বিচারক, যিনি অভিবাসন কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এড়াতে সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে, তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মিলওয়াকি কাউন্টি সার্কিট আদালতের বিচারক হান্না ডুগানকে (৬৬) অবৈধ অভিবাসীকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। জানা গেছে, বিচারক ডুগান কর্তৃপক্ষের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন এডুয়ার্ডো ফ্লোরেস-রুইজ নামের এক ব্যক্তিকে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বিচারক ডুগান আদালত কক্ষে থাকা অবস্থায়, অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এজেন্টদের কাজে বাধা দিয়েছিলেন। এই এজেন্টরা ওয়ারেন্ট ছাড়াই ফ্লোরেস-রুইজকে গ্রেপ্তার করতে এসেছিলেন।
ঘটনার সময় বিচারক ডুগান, ফ্লোরেস-রুইজ ও তার আইনজীবীকে পেছনের দরজা দিয়ে আদালত থেকে পালাতে সাহায্য করেন। এরপরে আদালতের বাইরে ফেডারেল এজেন্টরা ফ্লোরেস-রুইজকে গ্রেপ্তার করে।
আদালতের নথি অনুযায়ী, ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর ফ্লোরেস-রুইজ অবৈধভাবে আবার দেশে প্রবেশ করেন। এছাড়া, মার্চ মাসে মিলওয়াকি কাউন্টিতে তার বিরুদ্ধে ঘরোয়া নির্যাতনের তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছিল এবং এপ্রিল মাসে একটি শুনানির জন্য তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
বিচারক ডুগান যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তার সর্বোচ্চ ছয় বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। ডুু্গান ২০১৬ সালে বিচারক নির্বাচিত হন।
আগামী বৃহস্পতিবার তার পরবর্তী শুনানিতে তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেন।
এই ঘটনার পরে, ডেমোক্র্যাটরা অভিযোগ করেছেন যে, তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসন বিচার বিভাগের বিরোধিতাকে দমন করার জন্য ডুগানকে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে।
এই ঘটনার মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং অভিবাসন বিষয়ক বিতর্ক নতুন করে সামনে এসেছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা